মৌলভীবাজার জজ কোর্ট এলাকায় বাদী হারুনুর রশিদের হামলায় ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে ১নং জেলা আইনজীবি সমিতির ভবনের সামনে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মুয়িন খান, মস্কন্দর মিয়া ও আলতাব আলী। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে মস্কন্দরের অবস্থা আশংকাজনক হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হারুনুর রশিদ প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাৎ করায় ২০২১ সালে ১৫ মে কমলগঞ্জ উপজেলার কালিমন্দির বাজারে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হারুনুর রশিদ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং জিআর ৯১/২১)। ওই মামলার ৫নং আসামী মশাহিদ’কে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার মশাহিদ কোর্টে তোলা হলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন ও তার ভাড়াটিয়ে সন্ত্রাসীরা রাম দা ও ছুরি দিয়ে হামলা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, হঠাৎ করে ১নং আইনজীবি সমিতির ভবনের সামনে কয়েকজন লোক অতর্কিত হামলা করে। এসময় আত্মরক্ষার্তে আহত মূয়িন খান আইনজীবি সমিতির ১নং ভবনের ভীতরে ঢুকে। ভীতরে ঢুকেও হামলাকারীরা আঘাত করে। এ সময় মূয়িনের ডান হাতে রাম দা দিয়ে কুপ দেয়। বাহিরে থাকা মস্কন্দর মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। আহত মূয়িন খান জানান, বাদী হারুনুর রশিদ আমাকে আইনজিবী সমিতির ভবনের ভীতরে রামদা দিয়ে হাতে কুপ দেয়। এসময় হামলাকারীরা আমার সাথে থাকা ২জনকে গুরুত্বর আহত করে। এ বিষয়ে হারুনুর রশিদ বলেন, বিবাদীরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়, আমি নয়। তাহলে আপনে আহত না হয়ে হামলাকারীরা কিভাবে আহত হলো এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, হয়তো জনগণ মারধর করছেন। আমি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। জনগনের জন্য কাজ করছি। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিনুল হক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত অবগত নয়। অফিসার পাঠিয়েছি বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জাকারিয়া বলেন, শুনেছি দুই পক্ষে মারামারি করেছে। |