এ প্রসঙ্গে আমাদের কিছু কথা এখানে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি। খুবই সংক্ষেপে বলতে চাই। এ অঞ্চলে বন্য প্রানী হত্যা এমনিতেই নিষিদ্ধ। আর চিত্রল হরিণের মত দূর্লভ প্রজাতির প্রাণী নিধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে সকলেই বলবেন এটি ছিল একটি দূর্ঘটনা। আমরা মানি এটি একটি দূর্ঘটনা হতেই পারে। কিন্তু অভিজ্ঞ পোড়া মনমাঝে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি-ঝুঁকি মারে। প্রথমতঃ রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন হরিণের ময়না তদন্ত হয়েছে বলেছেন কিন্তু তদন্তে কি পাওয়া গেছে তার কোন উল্লেখ করেননি। গাছাকাটা, বনে আগুন দেয়া, বন্যপ্রাণী নিধন যে নমুনায়ই হোক; এসব দেখা-শুনা করার জন্য বনপ্রহরী নিযুক্ত থাকার কথা। দূর্ঘটনার পরে ভোর পর্যন্ত এরা কোথায় ছিলেন? ফলে যে কোন মানুষই প্রশ্ন তুলতে পারে আসলেই দূর্ঘটনা কি-না। না-কি হরিণ মাংস ভক্ষনের জন্য একটি কৌশল মাত্র! অন্যদিকে, এই এলাকার আশ-পাশে দিন-রাত বনরক্ষী পাহাড়ায় থাকার কথা। দূর্ঘটনাকারীদের উচিৎ ছিল গাড়ী থামিয়ে বনরক্ষীকে খুঁজে বের করে মৃত হরিণটির দূর্ভাগ্যের ঘটনাটি বলে যাওয়া। যদি সত্য সত্যই এটি দূর্ঘটনা হয়ে থাকে তা’হলে যারা দূর্ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা গভীর রাতে মৃত হরিণটিকে অনায়াসে গাড়ীতে তুলে নিয়েও যেতে পারতেন। তা কোনটাই হয়নি। অনেকেই বলবেন ভয়ে নেয়নি। যদি রাস্তায় কোথায়ও কারো হাতে ধরা পড়ে যায় এই ভয়ে। এমন ভয় থাকতে পারে। কিন্তু কার সাথে গাড়ীর ধাক্কা লাগলো অন্ততঃ নৈতিকতার কারণে সেটুকুতো দেখে যাবে। নয় কি! ধাক্কাতো একজন মানুষের সাথেও লাগতে পারে। তা’হলে বলতেই হয় তারা পালিয়ে গেছে। মানুষ মেরেছে না-কি গরু-ছাগল মেরেছে তা ঘুরে দেখার প্রয়োজনই মনে করেনি। এদের খুঁজে বের করা দরকার! |