তামাক ব্যবহারের কারণে দেশে প্রতিবছর
বিগত ৮ফেব্রুয়ারী “অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স”(আত্মা)-এর প্রাক-বাজেট সভায় বেরিয়ে এলো যে সকল তথ্য এসবের মাঝে অবাক হবার মত অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এসকল তথ্যের একটি হলো- তামাকজাতীয় পণ্যের কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৯,৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। ফলে এই বর্ধিত রাজস্ব চলমান আর্থিক সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শুধু কি তাই, এই কর প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ‘আত্মা’র মতে দীর্ঘমেয়াদে কমপক্ষে পাঁচ লাখ তরুণসহ মোট এগার লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
বিস্মিত হবার মত হলেও আরো যা জানা গেছে তা’হলো- ২০২১সালের পরে ২০২৩সালে এসে প্রায় প্রতিটি নিত্বপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সমাগ্রীর দাম কমের দিক থেকে ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৮৯শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ এই তামাকপণ্যের দাম সে মাত্রায় একেবারেই বাড়েনি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
দেশের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ৭টি মহানগরী তথা- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল এবং রংপুর অঞ্চলের নিত্যপণ্যের গড় খুচরা মূল্য বিশ্লেষণ করে তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির এমন দাবী উত্থাপন করেছে।
দেশে প্রায় ৩কোটি ৭৮লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহার করেন
তাদের সংগৃহীত সে তথ্য-উপাত্ব ঘেটে প্রয়োজনীয় আরো যা জানা গেছে তা’হলো- বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক(ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির(চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
‘আত্মা’র ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।