মুক্তকথা সংবাদ।। খলিফা তৈয়ব আলী সাহেবের দাফন সম্পন্ন। স্থানীয় শাহমোস্তাফা বোগদাদীর দরগাহের উত্তর পাশে আজ বুধবার ২৪শে জুলাই জোহরের নামাজের পর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্বে শহরের পূর্বপ্রান্তে বর্শীজুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বর্শীজুড়া গ্রামের মসজিদে তার প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এখানেই তিনি নতুন করে বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন।
পঞ্চাশ-ষাটের দশকে হাটি হাটি পা-পা করে আধুনিক মৌলভীবাজার যখন গড়ে উঠছে ওই সময়েই শহরের পোষাক তৈরী হস্তশিল্পের হাতে গোনা যে দুই-তিনজন কারিগর পেশা ও ব্যবসা হিসেবে পোষাক তৈরীর দোকান খুলে বাজারে এসেছিলেন, তৈয়ব আলী খলিফা তাদেরই একজন। বন্ধু-বান্ধবসহ সকল মহলেই তিনি ‘খলিফা সাব’ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। তৈয়ব আলী খলিফা অবশ্য মৌলভীবাজারের আদি বাসীন্ধা ছিলেন না। তিনি পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে ভারতের আসাম থেকে মৌলভীবাজারে এসে স্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করেন। মূলতঃ তিনি বিয়ানীবাজারের মাথিউড়া গ্রামের মানুষ ছিলেন। ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইংরেজ আমলের শেষদিকে তিনি আসামে পাড়ি দিয়েছিলেন। বৃটেন প্রবাসে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, রাজনগরের ‘মাথিউড়া চা বাগানের’ মালিক নিয়ন্ত্রক জনাব শামসুদ্দীন খানের ঘনিষ্ট প্রিয়জন ছিলেন খলিফা তৈয়ব আলী। ব্যক্তি জীবনে তৈয়বআলী প্রগতিশীল রাজনীতির চেতনায় সমৃদ্ধ এক সমাজ সচেতন নাগরীক ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজারের প্রগতিশীল রাজনীতির পৃষ্টপোষকতা করে গেছেন আমৃত্যু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তিনি মনে-প্রানে লালন করতেন। তার বড় ছেলে কামরুল ইসলাম একটি ব্যাংকের স্থানীয় ব্যবস্থাপক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ছেলে ও ২মেয়েসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।