মৌলভীবাজার, ৪ নভেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চৈত্রঘাটবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী তফাজ্জুল আলীসহ তার সাথে থাকা খালেদ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট ৪ আসামী গ্রেফতার হলেন। এরমধ্যে তিনজন এজহাহারভুক্ত এবং একজন সন্দেহভাজন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশসুপার কার্যালয় মিলনায়তন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি জানান, প্রধান আসামী তফাজ্জুল আলী পালিয়ে বিদেশ যাবার সময় বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তফাজ্জল আলী ও তার সাথে থাকা খালেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তফাজ্জলের কাছ থেকে ভিসা সংযুক্ত পাসপোর্ট, টাকা, সিমকার্ড এবং ৩৩৮ দেহরাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন মামলার অন্যতম প্রধান আসামী জুয়েল মিয়া, মাইক্রোবাস চালক আমির হোসেন হীরা, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সন্দেহভাজন হলেন তফাজ্ঝলের সাথে থাকা খালেদ মিয়া। কমলগঞ্জ থানার পুলিশ গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজনগর উপজেলা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী জুয়েল মিয়া ও মৌলভীবাজার সদর থেকে মাইক্রোবাস চালক আমির হোসেন হীরাকে গ্রেফতার করে।
গত ৩১ অক্টোবর চৈত্রঘাট বাজারে তার বাসার সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে আসামীরা। পরে সিলেটে হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহতের ভাই বাদী হয়ে কমলগঞ্জে থানায় ১৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকা ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় আধিপত্য বিস্থার নিয়ে দুটি পক্ষ বিবাদমান রয়েছে। সেই জেরেই এই ব্যবসায়ী খুন হন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত নাজমুলের বিরুদ্ধেও কমলগঞ্জ থানায় কয়েকটি মামলা ছিলো।
উল্যেখ্য, দুর্বৃত্তরা মৌলভীবাজার শহরের একটি বাসায় বৈঠক করে গত রোববার(৩১ অক্টোবর) দুপুর ২ ঘটিকায় মাইক্রোবাস যোগে কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাট বাজারে নাজমুলের বাসার সম্মুখে উপর্যুপরি কুপায়। স্থানীরা উদ্ধার করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টায় তার মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহতবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মৃত্যুর আগে নিহত নাজমুল হাসান লাইভ করে ঘটনাকারীদের নাম জানায়। এর পরে সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণ করা হত্যা কান্ডের দৃশ্যও বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে।
এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয়েছে। অন্যন্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
|