লন্ডন: এখন থেকে পুলিশের সাথে থাকবে যান্ত্রিক পুলিশ। আরো সঠিক করে বললে বলতে হবে রবোট পুলিশ। এক সময় মানুষ কল্পনা করতো এ নমুনার একটি কিছু যদি তাদের সাহায্যের জন্য পাশে থাকতো যে ঘুষ খায় না, যার স্বজনপ্রীতির কোন স্বজন নেই, নেই কোন উপরওয়ালার ধমকের ভয়। মানুষের একসময়ের এই কল্পনা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। তবে তা ইংল্যান্ড, নিউইয়র্ক, মস্কো; বেইজিং, টুকিও কিংবা কেনাডা, অষ্ট্রেলিয়ায় নয়। এ রবোট পুলিশ রাস্তায় নামিয়ে মানব সভ্যতার ইতিহাসে নবতর ধারা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সাগরতীরের মরুভূমির দেশ দুবাই! গত ২৪ মে তারিখে বিবিসি এ খবর দিয়ে লিখেছিল, এ রবোট পুলিশ প্রাথমিকভাবে শহরের বড় বড় দোকান ও অসংখ্য পর্যটকদের সুবিধার জন্য মানব পুলিশের সাথে রাস্তায়ও কাজ করবে। ২১ মে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে রবোটপুলিশ কর্মস্থলে যোগ দেয়। অবশ্য দুবাইতে চতুর্থ উপসাগরীয় তথ্য নিরাপত্তা মেলা ও সম্মেলনের অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর মধ্য দিয়ে ২৩ মে আনুষ্ঠানিক কর্মযাত্রা শুরু হয় এই পুলিশের।
রাস্তায় টহলকালে রোবটটি ইন্টারনেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত থাকবে। এটি মুখ শনাক্তকরণ সফটওয়্যার ব্যবহার করে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে ও ধরতে পুলিশকে সহায়তা করবে। এমনকি এটি লাইভ ভিডিও ফুটেজ পাঠাতেও সক্ষম।
স্বয়ংক্রিয় এ রোবট পুলিশ লম্বায় পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি। এটির ওজন ১০০ কেজি। এতে একটি (ইমোশন ডিটেক্টর) আবেগ অনুধাবন যন্ত্র সংযুক্ত আছে, যা ব্যবহার করে এই রোবট তার চারপাশে দেড় মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কোনো সংকেত অনুধাবন করতে পারবে। এটি মানুষের আবেগ ও মুখের অভিব্যক্তি বুঝতেও সক্ষম। মানুষের হাসি কান্না, সুখ-দুঃখের অনুভূতি অনুধাবণ করে সেই অনুযায়ী আচরণ করবে এই রোবট।