লন্ডন: মাধ্যাকর্ষনের উপরে মহাশূন্যে চলাচলের জন্য দুনিয়ার সর্ববৃহৎ বিমান তৈরী হয়েছে। মহাশূন্যে পরিবহনের সম্ভাব্যতা বৃদ্ধি করে পরিবহনের যোগ্য বিমান নির্মাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিগত ৬ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে “স্ট্রেটোলাঞ্চ” প্রকল্প। দেখতে কেমন বড় এই মহাশূন্যের বিমান? নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগে সবার।
হ্যাঁ, একটি ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট আর এই “স্ট্রেটোলাঞ্চ” বিমানের আকার ৩৮৫ফুট। অন্যকথায় একটি ফুটবল মাঠের চেয়ে বড় হল এই বিমানটি।
এর নির্মাতা হলেন মাইক্রোসপ্ট এর যৌথ নির্মাতা পল এলেন এবং স্কেইল্ড কম্পোজিটস স্থপতি বার্ট রুটন। তাঁরা ২০১১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর এই “স্ট্রাটোলাঞ্চ” প্রযুক্তি পদ্ধতির সৃষ্টি করেন। তাদের এই উদ্ভাবনের লক্ষ্য হলো মহাশূণ্যে গ্রহমন্ডলীর কক্ষপথে প্রবেশ ও ভ্রমনের ব্যবস্থা নেয়া।
বিমানপোতের নমুনায় মনে হবে দুটো বিমানকে এক করে নমুনা বানানো হয়েছে। ঠিক মাঝখানে বসানো আছে ৩টি রকেট। ৩৮৫ফুট দৈর্ঘ্যের পাখা মহাশূণ্যে চলাচলকারী বিমানটিকে আধুনিক সকল বিমানের চেয়ে অধিক লম্বা করে দিয়েছে। ২০১৯ সালের কোন এক সময় মহাশূন্যযানটি যাত্রা শুরু করবে বলে চলতি বছরের বিগত ৩১শে মে ঘোষনা দিয়েছিল।
মহাশূন্যযানটির ওজন কমপক্ষে ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড ফলে তার ২৮টি চাকা রয়েছে। পরীক্ষামূলক উড়ালের পর “স্ট্রাটোলাঞ্চ” মহাশূণ্যপোতটি বছরে ১০ বার উঠা-নামা করবে। ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০১৭ সালেই সম্পন্ন করা একটি অবিশ্বাস্য কাজ বলেই মনে হয়। উরাল দিতে এই শূণ্যযানটির ১২ হাজার ফুট লম্বা প্রায় ২মাইল সমান রাণওয়ের দরকার হবে। সূত্র: এমএসএন নিউজ