1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
দুমুখো নীতি! এ নীতিতে প্রায় সকলেই একমত - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

দুমুখো নীতি! এ নীতিতে প্রায় সকলেই একমত

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮
  • ৯৩২ পড়া হয়েছে

হারুনূর রশীদ

টেলিফোনে আমার এক অনুজের সাথে আলাপ হচ্ছিল। আমার একটি লেখা তার খুব পছন্দ হয়েছে। তাই ওই ভাইটি আমায় সাধুবাদ জানানোর জন্য ফোন করেছিল। সে আমায় অনুরোধ করলো এ ধরনের তথ্য সামগ্রী দিয়ে আরো লিখার জন্য। তাকে বললাম-ভাইরে লিখারতো ইচ্ছে হয় এবং লিখার অনুশীলনও চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সমস্যা কোথায় জানিস? দুনিয়ার মানুষ আমরা সকলেই দুই সত্ত্বার অধিকারী। আমাদের মধ্যে ভাল আছে আবার খারাপ দিকও আছে। অবশ্য কিছু কিছু মানুষ আছে তার চরিত্রের নেতিবাচক দিক এতই সবল যে, সে যেকোন অবস্থায়, যেকোন মিথ্যাকে সত্যবানিয়ে বলতে সামান্যতমও ভয় পাবে না। অত্যন্ত জানাশুনা মানুষের সামনেই অবলিলায় বেহিসেবীরমত মিথ্যা বয়ান করে যাবে।
দুনিয়ার বহুদেশ সুদীর্ঘকালের সফল অনুশীলনের মধ্যদিয়ে বা সুযোগে নিজেদের অনেকটা সুশীল করে গড়ে তুলতে পেরেছে। যা আমরা এখনও পারিনি। যদিও আমরা জোরগলায় বলি হাজার বছরের সংস্কৃতি কিন্তু বাস্তবে নিজেদের কাজ দিয়ে আমরা দুনিয়ার মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারিনা যে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-অনুশীলন হাজার বছরের। যদি তাই হবে তা’হলে হাজার বছরেও কেনো আমরা পারিনি মানুষকে মানুষ ভাবতে? কেনো আমাদের আমলাগুষ্ঠী ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে চায়না? একটি বিশাল বেতনের বিনিময়ে জাতিকে সেবা দানের কারণে উচ্চশিক্ষিত আমলাকূলের নিয়োগ জেনেও নির্দিষ্ট কাজের বেলায় ধান্ধাবাজ সাজতে লজ্জ্বাবোধ করেনা। কেনো আমাদের উচ্চশিক্ষিত মানুষ অর্থ আত্মসাৎ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতেই চায় না? কেনো এখনও আমাদের দেশে বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে?
মিথ্যার বেশাতি করতে গিয়ে আমাদের সুশীল সমাজের অনেকেই দীর্ঘ অনুশীলনের পরও নিজেদের শুধরাতে পারে না। অকপটে মিথ্যা বলে যায়। এমন মিথ্যা ধান্ধাবাজ, উজির-নাজির পর্যন্ত পৌঁছে যায় কোন শক্তিবলে?
 মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবতে না পারার পেছনের কারণ কি(?) নিষ্ঠাবান হয়ে শুদ্ধ মনে আমরা কখনও খুঁজে দেখার চিন্তা করেছি কখনও।
আমার সেই সুহৃদ বন্ধুটি আমায় সুধালো, জানেন- ইউরোপীয়ান বা আমেরিকান সাংবাদিক ও রাজনীতিকরা পারেন না এমন কাজ মনে হয় এ বিশ্বলোকের কোথায়ও নেই। স্বয়ং স্রষ্টাও তাদের এমন কূটকৌশল দেখে মুখ লুকান। ওই যে আমাদের বাংলায় মারফতি একটি গান আছে না ‘তুমি সর্প হইয়া দংশন করো আবার ওঝা হইয়া ঝারো’! আমেরিকাসহ পাশ্চাত্য সাংবাদিকেরাও তেমনি। একগুষ্ঠী অর্থ নিয়ে যেকোন অপরাধের পক্ষে লবিং করে। মহা অপরাধিকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিতে মিছিল মিটিং করতে পর্যন্ত সামান্যতম দ্বিধাবোধে ভোগেনা। ঠিক একইভাবে অন্য পক্ষ, অপরাধীর গোষ্ঠী উদ্ধারে আকাশ-পাতাল উলট-পালট করে ফেলবে। গভীরভাবে পশ্চিমা সাংবাদিকতাকে অনুসরণ না করলে হঠাৎ করে এ সত্য চোখে ধরা পড়ার নয়। 
হয়তো অনেকেই বলবেন, এটি কোন কথা হল না-কি! দুনিয়ার মানুষ সকলেই কি একই মতের অনুসারী। অবশ্যই না। বিভিন্ন মতের ও পথের মানুষ। সুতরাং মতের এ বিভিন্নতা যতদিন থাকবে মানুষও উভয় পক্ষেই থাকবে। এখানে ইউরোপীয়ান বলেন আর এশিয়ান বা আমেরিকান বলেন সকলেরই একই অবস্থান। আপাততঃ চিন্তায় মনে হবে শেষের কথাটিই ঠিক। কিন্তু আসলে কি  ঠিক?
প্রশ্ন উঠতেই পারে, আমেরিকানরা এখন কেনো তাদের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ধিক্কার দিচ্ছে? সাথে বৃটিশরাও একই সুরে বাঁশী বাজাচ্ছে। এই গত পরশু দিন বৃটিশ ডাকসাইটে পত্রিকা “দি গার্ডিয়ান”-এর কলাম লেখক জনাথান ফ্রিডল্যাণ্ড গার্ডিয়ানে লিখেছেন- ‘ট্রাম্পের অনুপ্রেরণায় দুনিয়া সম্ভবতঃ ১৯৩০ ইংরাজীতে ফিরে যাচ্ছে।’
এটা বুঝি, ইদানিং বৃটেন-আমেরিকার সম্পর্ক খুব ভাল যাচ্ছেনা। আমেরিকান সংবাদপত্র যখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশে অস্ত্রবিক্রির অপরাধে বৃটেন, জার্মান বা ফ্রান্সকে দায়ীকরে লিখে তখন বৃটেনের সংবাদপত্রও ট্রাম্পের বিপক্ষে উঠে-পড়ে লেগে যায়। রাশিয়া, ভারত ও চীনারা যখন ব্যবসায়িক অভিন্ন স্বার্থে ছিন্নমূল রাখাইন রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলেনা; বলে অত্যাচারী গণহত্যাকারী ব্রহ্মদেশের পক্ষে তখন দেখা যাবে বৃটেন কথা বলছে রোহিঙ্গাদের পক্ষে।
ট্রাম্প বৃটেন সফরে আসবেন জুন না-কি জুলাই মাসে। টোরিদল সাদরে গ্রহন করবে তাকে। সব ঠিক হয়েগেছে। রাণীর দফতর থেকে খবর রাণী দাওয়াত খাওয়াবেন না। জেরেমী করবিনের নেতৃত্বাধীন বিরুধী শ্রমিক দল কোন অবস্থাতেই ট্রাম্পের এ সফরকে অভিনন্দন জানাবে না। বরং তাকে না আসার বহু হুমকি-ধামকি দিয়েছে। তার দলেরই কিছু আছেন যারা নিরব দর্শকের ভূমিকায় আছেন। এটাকি পশ্চিমা কৌশলী রাজনীতির একটি লক্ষ্যনীয় অংশ নয়? সত্যচিন্তায় এটাকি একটি উন্নত মানব সমাজের দুমুখো নীতি নয়।
 অন্য কথায় এগুলো হাস্যকর নয়কি? সমাজতন্ত্রী মূল্যবোধের ধারক শ্রমিকদল আর সাম্রাজ্য ও ধনবাদী চেতনার রাণীর মত ও পথ এখানে একাকার হয়ে গেছে। কিন্তু কিভাবে? খানিকটা দূর্বোধ্য জগাখিচুরী মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ নয় কি?
আমেরিকান সুশীল সমাজসহ সকলেই ভোট দিয়ে ট্রাম্পকে জয়ী করালো। প্রথম প্রথম ট্রাম্পের সে-কি জয়গান আর গুণকীর্তণ! যদি ট্রাম্প এতোই খারাপ লোক তা’হলে আমেরিকার ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’ বলে খ্যাত সুশীল রাজনীতিক সমাজ কি করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোটে দাড়াবার ফয়সালা দিল? যদি এখন বলি যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা করছেন, মূলগতভাবে বেশীরভাগ সুশিক্ষিত সুশীল সমাজের আমেরিকানই মনের গভীর থেকে চায় এরকম একজন প্রেসিডেন্ট। শুধু দুনিয়ার মানুষের চোখে ধূলো দিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে তাদের এই ট্রাম্প বিরুধী প্রচারণা।
 দুমুখো নীতি আর-কি! দুনিয়ার বেশীর ভাগ মানব সমাজ এ নমুনার ভাব-আদর্শে গড়ে উঠেছে। সে ভাববাদী বলেন আর ধর্মবাদী, সমাজবাদী বা ধনবাদী যা-ই বলেন এ নীতি বাক্যে সকলেই একমত। লণ্ডন, রোববার ২৪শে জুন ২০১৮

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT