নিবিড় পরিচর্যায় শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান-
প্রফেসর ডা. আজিজুর রহমান
সিলেটস্থ মৌলভীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম, সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতাল, আল আমিন সেন্ট্রাল ডেন্টাল কলেজ, উপশহর লায়ন্স ক্লাব শিশু ও চক্ষু হাসপাতালসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা, সিন্দুরখান ইউনিয়নের লাহারপুর আব্দুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা- বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আজিজুর রহমান নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তিনি বিগত কয়েক মাস যাবৎ অসুস্থ।
জনাব আজিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়নের লাহারপুর গ্রামে হলেও তিনি সিলেট শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।
এই মহৎপ্রাণ সামাজিক ব্যক্তির সুস্থতা কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করা হয়েছে।
আমরা না দেখলে কে দেখবে?
স্বয়ং গ্রামবাসী মিলে সংস্কার করলেন তাদের গ্রামীণ সড়ক
রাস্তাটির স্থায়ী উন্নয়নের দাবী
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর বাজার গ্রামীন ব্যাংকের সম্মুখ থেকে পশ্চিম কান্দিগাঁও রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক। মুসলিম মণিপুরি অধ্যুষিত এই এলাকাটি। যেখানে শত শত মানুষের বসবাস। যা বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে গ্রামীণ সড়কের এ অবকাঠামোতে। সংযোগ সড়কটি একেবারে ভেঙে পড়েছে। আর তাই শত শত মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে খোদ গ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত রোববার সকাল থেকে অর্ধশতাধিক এলাকার প্রবীণ মুরব্বী ও যুবকরা স্বেচ্ছায় সড়ক মেরামতের কাজ করেন। তাঁরা রাস্তার পাশে কৃষি জমি থেকে মাটি দিয়ে সড়কটি মেরামত করেন। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কে এখন হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এই সড়কটি দিয়ে আদমপুর বাজার গ্রামীন ব্যাংকের সম্মুখ থেকে পশ্চিম কান্দিগাঁও গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করে।
![]() |
স্থানীয়রা জানান, এ বছরের শুরুতে স্থানীয় জনগণ আশা করেছিল নতুন পরিবেশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তারা যথাসময়ে উপজেলা পরিষদে লিখিত আবেদনও জমা দেন। কিন্তু এ রাস্তায় কোনো কাজ না করে বরং তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে আশাহত হয়ে স্থানীয় মানুষ নিজেরাই রাস্তা সংস্কারে কোদাল হাতে তুলে নেয়। তারা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তার গর্ত ভরাট করছেন এবং চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় মুসলিম মণিপুরি বাসিন্দা কবি ও লেখক হাজী আব্দুস সামাদ বলেন, ‘এই রাস্তায় স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা হাঁটতে পারে না, বর্ষায় পানি উঠে যায় কোমর পর্যন্ত। আমরা না দেখলে কে দেখবে?
এলাকার প্রবীণ মুরব্বী আব্দুল কাদির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত এ রাস্তাটিতে কারো নজর পড়েনি। স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তাটির টেকসই উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানানো হয়।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদাল হোসেন বলেন, ‘এ রাস্তাটি পূর্বে একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকবারের বন্যায় রাস্তাটি বিনষ্ট হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের ভিতরে কাজ শুরু হবে। আশা করছি সাধারণ মানুষকে আর কষ্ট করতে হবে না।’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর গ্রামবাসীকে সেচ্ছায় সড়ক সংস্কার করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এ রাস্তাটি টেকসই উন্নয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন- দ্রুত সময়ের ভিতরে সড়ক সম্পূর্ণ চলাচল উপযোগী করে তোলা হবে।’