মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। এর আগে পৃথিবীর মানুষ এমন রংয়ের প্রানী কখনও দেখেনি। এতো সুন্দর নীল রংয়ের মাছ!
১৪বছর বয়সী মেঘান ও তার বাবা জে লাপ্লান্তে, মাইনে উপকূলে নৌকা নিয়ে মাছ খুঁজে ঘুরছিল। হঠাৎই প্রথম চোখে পড়ে মেঘানের। কি যেনো অসম্ভব নীল রংয়ের, তার মাঝধরা ঝাঁপিতে ধরা পড়েছে। ঝাঁপির ঢাকনা খুলে প্রাণীটিকে দেখলো মেঘান। প্রথম প্রাণীটির উপর নজর পড়তেই তার চোখতো চড়কগাছ! এ যে নীল রংয়ের গলদা চিংড়ি।
গলদা চিংড়ি মাছের রং লাল এতোদিন তাই সবাই জানতো। কিন্তু ২০১৪সালের আগষ্ট মাসে আমেরিকায় কঠিন খোল বা খোশাযুক্ত কড়া নীল রংয়ের গলদা চিংড়ি ধরা পড়ার পর মানুষের সে ধারনা পাল্টে যায়। সংবাদ মাধ্যমের বদৌলতে সারা দুনিয়ার মানুষ সেদিন দেখলো যে গলদা চিংড়ির রং শুধুই লাল নয়। ভিন্ন রংও আছে। যদিও সেটি লাখে একটি।
কানাডার কুইবেক আর আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ারের কাছেই অবস্থিত পর্টল্যান্ড মাইনে উপকূলে ধরা পড়ে নীল রংয়ের সেই গলদা চিংড়ি। ‘মিস মেগান গলদা চিংড়ি কোম্পানী’ পর্টল্যান্ড থেকে অনুমান ১০মাইল দূরের এই মাইনে উপকূলে মাছটি ধরেছিল। সাথে সাথেই মেঘান তার ফেইচবুকে সেই খবরটি তুলে দিয়েছিল।
মাত্র ১৪ বছর বয়সের মেঘান সেদিন ওই চিংড়ি মাছটিকে খায়নি। বরং সে ব্যতিক্রমী রংয়ের চিংড়িটিকে আমেরিকার ‘মেইনে স্টেট সংরক্ষিত কৃত্রিম পুষ্করিণী’তে দান করে দিয়েছিল তার জীবন রক্ষার জন্য। দান করার আগে সে চিংড়ি মাছটির একটি নামও দিয়েছিল। “স্কাইলার”।
মাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গলদা চিংড়ি প্রশিক্ষনকেন্দ্রের ধারনা লাখের মধ্যে একটি বা দু’টি হলেও হতে পারে এ রংয়ের চিংড়ি। চিংড়িতে এমন রং আসে প্রজনন নিয়ন্ত্রক জীবকোষ বা ‘ক্রোমোসোম’-এ থাকা কোন ত্রুটির কারণে। যার ফলে নির্দিষ্ট ধরনের ‘প্রোটেইন’ অধিক পরিমাণে উৎপাদন করে। এ মত মাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিংড়ি গবেষণাগারের। সূত্র: দি মেইল ও ইউএস টুডে