সংবাদ সম্মেলন
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত শ্রীমঙ্গল শাখার নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে
পূনঃ নির্বাচনের দাবী
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের(রেজিনং-১২২৩) এর অন্তর্ভূক্ত শ্রীমঙ্গল শাখার নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনী ফলাফর বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া পরাজিত প্রার্থীরা।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া পরাজিত পার্থীরা ফলাফর প্রত্যাক্ষাত করে পূন নির্বাচনের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী আবু কামাল খায়রুজ্জামান কামাল। লিখিত বক্তব্য কামাল বলেন, ১৮ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গল শাখার নির্বাচন ২০২০ অনুষ্টিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটগ্রহন চলে। শান্তিপূর্নভাবে ভোট প্রয়োগ করেন ভোটাররা। নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা (১২২৩) শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলু আহমেদ এবং নির্বাচনী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ছিলেন মামুনুর রশীদ মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ এনে কামাল বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর থেকে নির্বাচন কমিশন তাদের ইচ্ছেমতো ভোটার তালিকা সংশোধন করা ও ঠিকানা বিহীন একই ভোটারকে একাধিকবার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা, শ্রমিক নয় এমন লোকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা,কমিশনের মর্জি মত বেসরকারি প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা, প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করতে না দেওয়া, ফলাফলের সময় প্রার্থীর এজেন্টের ভোটযুক্ত ব্যালট না দেখানো এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষর ছাড়া প্রহসনের ফলাফল ঘোষনা করার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, রাত আড়াইটায় যখন নির্বাচন কমিশনার কতৃক ফলাফল ঘোষনা করা হয়, তখন এই ফলাফল প্রত্যাখান করে পরাজিত পার্থীরা নির্বাচন কমিশনারের নিকট পূনরায় ভোট গণনার আবেদন করেন। তখন নির্বাচন কমিশনার পূণরায় ভোট গণনা করতে অনিহা প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে সাধারণ শ্রমিকরা রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা নির্বাচন কমিশনারকে ভোট কেন্দ্রে অবরোদ্ধ করে রাখেন। পরে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এসে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করে নির্বাচন কমিশনার, ভ্যালট বাক্্র সহ ক্ষুব্ধ শ্রমিক ও প্রার্থীদের থানায় নিয়ে আসেন। পরে পার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যালট বাক্্র সিলগালা ও জব্ধ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের এই কার্যকলাপে সাধারণ শ্রমিক ও পরাজিত পার্থীরা ১৮ নভেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে নিরপক্ষ কমিশনের মাধ্যমে পূণনির্বাচনের দাবি জানান। এব্যাপাওে তারা শ্রম পরিদর্শকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তওে লিখিত অভিযোদ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী һপক কানু, মোহাম্মদ আলী, কার্যকরি সভাপতি তসলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অর্জন দাশ ও মোজাহিদুর রহমান ফটিকসহ নির্বাচনে অংশ নেওয়া পরাজিত সকল প্রার্থী ও অন্যান্য শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
|