চান মিয়া, ছাতক, সুনামগঞ্জ: ছাতকে হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়ায় ফসলহানির আশংকায় ভোগছেন কৃষকরা। স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা পিআইসি কমিটির চরম দায়িত্বহীনতায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে নির্বাহী অফিসার ও কৃষকদের মধ্যে পরস্পর বিরুধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। কৃষকরা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি-বাদল আসার আগেই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে গত ১১ফেব্রুয়ারী সিংচাপইড় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মো. সাহেল উপজেলার চাউলীর হাওরের বাঁধ নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। এছাড়া উপজেলার বৃহৎ নাইন্দার হাওরে ১৫ফেব্রুয়ারি নির্বাহী অফিসার সরেজমিন পরিদর্শন করে ৫নং পিআইসি ছাড়া এখনো ৪টি পিআইসি’র কাজ শুরু হয়নি। ফলে আগাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এ হাওরের ফসলহানির আশংকা রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫জানুয়ারি নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৩টি হাওরের মধ্যে ২টি হাওরের বাঁধ নিয়ে প্রায় ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি(পিআইসি) গঠন করা হয়। এছাড়া ১৪সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটিও গঠন করা হয়। নোয়ারাই ইউপির নাইন্দার হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে ৫টি, জাউয়া ও চরমহলা ইউপির ডেকার হাওরের আরো ২টিসহ ৭টি পিআইসি গঠন করা হয়।
এসব প্রকল্পের কাজ ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবার কথা থাকলেও এখনো সবগুলো পিআইসির কাজ শুরু হয়নি। কিন্তু এরপরেও নির্বাহী অফিসার নিজের ঘাড়ে দায় নিতে রাজি না হলেও তিনি উপজেলা পিআইসি মনিটরিং কমিটির সভাপতি হিসেবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কাজ শুরু না হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘স্ট্যাটমেন্ট’ তৈরির কাজ করে পাউবো কর্তৃপক্ষ। কমিটির সদস্য সচিব পাউবোর সহাদাত হোসেনের কাছ থেকে এ বিষয়ের বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জানা গেছে, নাইন্দার হাওরে ১৫.৭৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য এডিপি থেকে ৫১লাখ ৯৪হাজার এবং এনডিআর থেকে ২০লাখ টাকা, ডেকার হাওরের জন্য এডিপি থেকে ১লাখ ৫৯হাজার টাকা ও এনডিআর থেকে ২৪লাখ ৮৫হাজার টাকা এবং চাউলীর হাওরের জন্য এনডিআর থেকে ৫৭লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।