পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশে “ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যাসোসিয়েশন ইষ্টবোর্ণ”এর
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় “ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যাসোসিয়েশন ইষ্টবোর্ন” নামের ইংল্যান্ড ভিত্তিক একটি সংগঠন বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনটি সিলেট বিভাগের তিনটি উপজেলায় তাদের প্রকল্প চালু করেছে। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এই সংগঠনটি দারিদ্র বিমোচন শিক্ষা ও আর্থ মানবতার সেবায় কাজ করছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ২০০৭ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়ও কাজ করছে সংগঠনটি। এযাবত সংগঠনটি উগান্ডায় দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি প্রায় আড়াই লক্ষ বৃক্ষ রোপন করেছে। বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় সংগঠনটি একটি ব্যতিক্রমী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রকল্প পরিচালক মজম্মিল হোসেন বলেন বাংলাদেশে তারা হিজল এবং করচ বৃক্ষ রোপন করছেন, এই হিজল ও করচ বৃক্ষ পানিতেও নষ্ট হয়না, এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে। এর পাশাপাশি তারা পলিথিনবেগ ও প্লাষ্টিক দ্রব্য ব্যবহারের অপকারিতা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানীর মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে অংশ নেন। ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দলও এই সম্মেলনে যোগদেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক(জেনারেল সেক্রেটারি ইউকে আওয়ামী লীগ), আব্দুল আহাদ চৌধুরী(সাংগঠনিক সম্পাদক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ) আ.স.ম মিসবাহ(শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ইউকে আওয়ামীলীগ), মজম্মিল হোসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যাসোসিয়েশন ইষ্টবর্ন, আহমেদ মহিউদ্দিন(সংগঠন, সোয়ানসি আওয়ামী লীগ), শিক্ষাবিদ মিসেস সৈয়দা রেখা বেগম, আফশার হুসেন(সদস্য, ইউনাইটেড ন্যাশন অ্যসোসিয়েশন ইস্টবোর্ন), মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার(গবেষক, নুরেমবার্গ) ও বদরুল কামালী(স্পেন)। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে তাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এই সংগঠনটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়েন এলসি, প্রতিষ্টাতা প্রেসিডেন্ট ডিউক অব ডেবন শায়ার। সংগঠনটির জন্ম ১৯৪৫ সালে ইংল্যান্ডে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট : স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়ন ছাড় করতে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সে অর্থ জলবায়ু তহবিলে জমা দিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মিউনিখের বার্গারহাউস গার্চিং হোটেলে জার্মানি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনায়ও যোগ দেন। বিশ্বব্যাপী এখন সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে পরিবেশ বিপর্জয় ও যুদ্ধ। এবস বন্ধ করতে না পারলে বিশ্বে মারাত্মক বিপর্জয় নেমে আসবে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে কার্ডিফ শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযোগ্য মর্যাদা ও
পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ৫২ এর ভাষা শহীদানদের অমর স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর ও ওয়েলস আওয়ামী সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালিক এর নেতৃত্বে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম মর্তুজা. সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দিক আহমেদ ,সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, ওয়েলস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল আহমেদ ,ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, ওয়েলস যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সহ সভাপতি রকিবুর রহমান, নিউপোর্ট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ শাফি কাদির, ওয়েলস কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালিব, ওয়েলস তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির আলী, শেখ সুমন তরফদার, দুলন সিকদার, কামাল আহমদ, আব্দুস সামাদ, ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল হক মনসুর,সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার শাওন, সাবেক ছাত্রনেতা রাসেল আহমদ ও আলীম আল মুনিম সহ ওয়েলস আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য সংগঠনেরর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
“৫২ এর ভাষা শহীদানদের অমর স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আয়োজিত আলোচনা সভায় ওয়েলস আওয়ামী সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালিক বলেন,আপনারা জানেন ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির যে চেতনা তাই ছিল মুল শক্তি। দুইটি আন্দোলনেরই পুরোধা ব্যক্তিত্ব এই জাতির স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সমাপনি বক্তব্যে ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর ৫২ এর ভাষা শহীদানদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে উনার বক্তব্যে বলেন একুশের পথ ধরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি একটি লালবৃত্ত সবুজ পতাকা. অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে একটি জাতি তার কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে পারে- বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাস ও অমর একুশ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’ আমাদের এখানকার বেড়ে উটা নব প্রজন্মের সন্তানদের আমাদের ভাষা. কৃষ্টি. সংস্কৃতি. ঐতিহ্য.সাফল্য সম্ভাবনা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান।
গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনর উদ্দোগে মহান একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুপা চক্রবর্তীর একুশে পদকে ভুশিত হওয়ায় তাকে সম্বর্ধনা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মরহুম এম এ জি ওসমানীর জন্য দোয়া ও আলোচনা সভা ভার্চুয়ালী অনুষ্টিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক ময়নুল চৌধুরী হেলালের সন্চালনায় মৌলানা আব্দুল কুদ্দুস এর দোয়ার মাধ্যমে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্বা ও সংগীত শিল্পী ডাঃ অরুপ রতন চৌধুরী সাবেক রাষ্টদুত জিসনু রায় চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্বা আব্দুল মোনেম নেহেরু একুশে পদকপ্রাপ্ত সম্বর্ধিত রুপা চক্রবর্তী ডাঃ সৈয়দ শাহ এমরান সহ সভাতি কাপ্তান হেসেন, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ছোটন, সংগঠন এর সহ সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর, অলি উদ্দিন শামীম শেখ ফারুক আহমদ কোষাধ্যক্ষ রফিকুল হায়দার বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারন সম্পাদক ইন্জিনিয়ার মুহিব উদ্দিন বিশিষ্ট ব্যাংকার জনতা ব্যাংকের সাবেক জি এম শামীম কোরেশী বাংলাদেশ ইউনিটের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী জালাল, অধ্যক্ষ নেছার আলী, কেন্দীয় কমিটির সহ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ দিপক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজু চৌধরী, ফ্যান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল উদ্দিন, নেছার আহমদ বেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে একুশের সংগীত পরিবেশন করে রেডিও ও টেলিভিশন শিল্পী হিমাদ্যী বিশ্বাস ও আলী ইদ্যিস সহ ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপাচ্য, বাংলাদেশ অস্টেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ অংশগহন করেন। সবাই আমাদের গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা অধ্যাপক রুপা চক্রবর্তীর একুশে পদক লাভে তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং তাঁহার কর্মময় জীবন যেন আরো উজ্জল হয় সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাধারন সম্পাদক হেলাল চৌধুরী তার জীবনী তুলে ধরেন। রুপা চক্রবর্তী তার বক্তব্য তাকে সম্মান প্রদান করায় গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান তার ভবিষৎ আরো সুন্দর ও উজ্জল হয় সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করেন। কর্নেল এম এ জি ওসমানীর বীরত্বগাঁথা জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং এ বীর সেনানীর অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আরো মুল্যায়নের দাবী জানান।