মৌলভীবাজার অফিস।। অনেক পুরানো খবর। কিন্তু সমস্যার শতভাগ সমাধান হয়নি বলেই নতুন করে আবার লিখতে হচ্ছে। আগের খবরে ছিল মৌলভীবাজার জেলায় মোট ১০১২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এগুলির মাঝে ২৫৩টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। পদখালি। পছন্দের মানুষদের ভারপ্রাপ্ত বানিয়ে জোড়াতালির মধ্যদিয়ে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এবার অনুরূপ খবর তবে শুধু উপজেলা বড়লেখাকে নিয়ে।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী উপজেলা বড়লেখায় ৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোন প্রধান শিক্ষক নেই। যা চার মাস আগেও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় খবর হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি বন্ধ থাকায় বছরের পর বছর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলে আসছে প্রায় অর্ধশতের মতো এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে যা স্বাভাবিক তাই হচ্ছে। কে করবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানের কাজ এ নিয়ে প্রায়ই শিক্ষকদের মাঝে নানাবিদ কোন্দল চলে, চলে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার আদর্শ পরিবেশ। ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে লেখাপড়ার মান। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম। পত্রিকান্তরে দেখে আশ্চর্য হতে হয় যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা না-কি এ বিষয়ে কিছু জানেনই না।
জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলা এলাকায় মোট ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অবসর গ্রহণ ও বদলিজনিত কারণে এর মধ্যে ৪৮টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে আছে। অভিযোগ শুনা গেছে, একাধিক শূন্য পদ থাকা স্বত্ত্বেও বিধিবহির্ভূতভাবে শিক্ষা অফিসকে হাত করে অনেক প্রধান শিক্ষক পছন্দের এলাকায় বদলি হয়েছেন। ফলে ওই সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সিনিয়র একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক কাজকর্মের পাশাপাশি পাঠদান করতে গিয়ে এসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়। অনেক অযোগ্য ও প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগও শুনা গেছে।
জানা গেছে, ২ জন বা ৩ জন শিক্ষকের স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষক না থাকায় একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত করায় অনেক ক্লাসের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাছাড়া মাতৃত্বজনিত ছুটি ও ট্রেনিং সংক্রান্ত ডেপুটেশন দেয়ায় অনেক বিদ্যালয়েই বছরের বেশিরভাগ সময় শিক্ষক শূন্য থাকে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন এমন কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় সকল দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের জন্য পদোন্নতিযোগ্য সহকারী শিক্ষকদের একটি তালিকা তৈরি করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।