মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। লাউয়া ছড়া অভয়ারণ্যের কালাছড়া বনবিটে “ভিলেজার”দের নামে শত শত একর বনভূমি অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ সকল অবৈধ দখলদার বেআইনীভাবে বন উজার করে গড়ে তুলছেন ফলের বাগান, মাছের পুকুর এমনকি কাঁচাপাকা ঘর-বাড়ী। এ যেনো নির্মাণের মহোৎসব চলছে। এতেকরে হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র, বিপর্যয়ে লন্ডভণ্ড হচ্ছে পরিবেশ। ফলে লাউয়া ছড়ার অস্তিস্থ রক্ষা নিয়ে সংকিত হয়ে পড়েছেন সচেতন মহল।
লাউয়া ছড়া সরইবাড়ী এলাকায় যতদূর চোখ যায় দেখা যাবে শুধু বিরাণ টিলাভূমি। বাফার জোনে বন সৃজনের কথা থাকলেও কোথায়ও চারা রোপণের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই। বরং পাওয়া গেছে কাটা গাছের গোড়া। এরকম বহু শতবর্ষী গাছ কেটে তৈরী করা হয়েছে আনারস, লেবু, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলের চাষের জমি। খনন করে তৈরী করা হয়েছে মাছের পুকুর, নির্ভয়-নিশ্চিন্তে উঠেছে পাকা ঘরও। চারিদিকে দেখা গেছে কেটে নেয়া গাছের গুড়ি।
বিশাল শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। | বনায়নের প্রকল্প থাকলেও তার কোন চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না। |
যেখানে ভিলেজারদের ৩ একর জায়গা নিয়ে থাকার কথা সেখানে একেকজনের দখলে রয়েছে বহুগুণ বেশী ভূমি। দরীদ্রদের জমি পাওয়ার কথা থাকলেও তা চলে গেছে প্রভাবশালীদের দখলে। মারাত্মক অভিযোগ, খোদ বনবিভাগই ও সুযোগ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পড়তে হয় প্রভাবশালীদের রোষাণলে। দখলদার গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল জব্বার তো রীতিমত ক্ষেপে যান।
বন উজাড় করে আনারস লাগানো হয়েছে। | বন উজাড় করে পেঁপে ও লেবু গাছ লাগানো হয়েছে। |
পরিবেশবাদীদের অভিযোগ বন উজার করে দখলের ব্যবস্থা করছে খোদ বনবিভাগই। রেঞ্জ কর্মকর্তার রহস্যজনক নিরবতায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক, লাউয়া ছড়া জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটি জানান, দখলদাররা ক্ষেত-খামার করতে গিয়ে তারা যে কীটনাশক ব্যবহার করছে তা পানির সাথে মিশে গিয়ে আমাদের পুকুর জলাশয়, বন্যপ্রানী সবের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে।
আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক, লাউয়া ছড়া জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটি। | বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ। |
অথচ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বিভাগীয় বণকর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ। তবে তিনি আশ্বাস দিলেন যে খুঁজ নিয়ে বিহিত ব্যবস্থা করবেন। মৌলভীবাজার থেকে এটিএন প্রতিনিধি মহসিন পারভেজের খবর।