1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিভিন্ন চা-বাগান থেকে ব্যাপকহারে ছায়াবৃক্ষ কাটা চলছে - মুক্তকথা
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিভিন্ন চা-বাগান থেকে ব্যাপকহারে ছায়াবৃক্ষ কাটা চলছে

প্রনীত দেবনাথ॥
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৫ পড়া হয়েছে

শমশেরনগর চা বাগান থেকে কেটে নেয়া হচ্ছে ছায়াবৃক্ষ
যা চায়ের উৎপাদনে প্রভাব ও পরিবেশের উপর হুমকি হয়ে উঠছে


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ডানকান ব্রাদার্স এর মালিকানাধীন শমশেরনগর চা বাগান থেকে বিলীন হচ্ছে বৃহদাকারের শেডট্রি বা ছায়াবৃক্ষ। দীর্ঘ সময় ধরেই একটি মহল চা বাগানের সেকশন থেকে গাছ কেটে পাচার করছে। এতে চায়ের উৎপাদনেও প্রভাব পড়ছে, আবার পরিবেশের জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। তবে চা বাগান কর্তৃপক্ষ দাবি করছে পূজাপার্বনে জ্বালানির জন্য শ্রমিকরা মৃত গাছ কেটে নেয়। মঙ্গলবার(২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শমশেরনগর চা বাগান শ্মশানঘাট সংলগ্ন স্থান থেকে ২টি বৃহদ আকাশমনি গাছ কেটে নেয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শমশেরনগর-পীরেরবাজার সড়কের ধারে শ্মশানঘাট সংলগ্ন শমশেরনগর চা বাগানের সেকশন থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে দু’টি আকাশমনি গাছ কর্তন করা হয়। চা বাগান সর্দার আহাদ মিয়া কয়েকজন চা শ্রমিক দিয়ে গাছ কর্তন করেন। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া কর্তনকৃত গাছগুলোকে খণ্ডিত করে চা বাগানের ট্রাক্টর যোগে বাগানের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’টি গাছই বৃহদ আকৃতির ও জীবিত গাছ। এগুলো চা গাছের ছায়াবৃক্ষ হিসাবে ভূমিকা রাখে।

গাছ কেটে নেয়ার বিষয়ে আহাদ মিয়া বলেন, চা বাগান ব্যবস্থাপকের অনুমতি সাপেক্ষে জ্বালানির জন্য গাছগুলো কেটে নেয়া হচ্ছে। এভাবে আরও কিছু গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চা শ্রমিক বলেন, আহাদের মাধ্যমে চা বাগানের শত শত গাছ রাতের আঁধারে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সেকশনগুলো বৃক্ষশূন্য হচ্ছে।

এদিকে শমশেরনগর এর ফাঁড়ি দেওছড়া, ডবলছড়া, কানিহাটি চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানে পুরনো ও বৃহদাকার গাছ চুরি হচ্ছে। সেকশনের পুরনো কড়ই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। এই গাছগুলো একদিকে চা-গাছের ছায়ার যোগান দেয় পাশাপাশি চা বাগানে অতিবৃষ্টি ও প্রখর রোদের কবল থেকে চা গাছকে রক্ষা করে। এজন্য চায়ের টিলাগুলো বৃক্ষরাজিতে ভরপুর থাকে। অন্যদিকে বিশাল চায়ের টিলায় গাছগুলো মাটির ক্ষয়রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। চা বাগানের এসব ছায়াবৃক্ষগুলো চায়ের উৎপাদন, মাটির ক্ষয়রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যুগান্তকারী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। এসব গাছ কর্তন করে ফেলায় চায়ের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আবার পরিবেশের জন্য হুমকি হয়েও দেখা দিচ্ছে।

পঞ্চায়েত নেতারা জানান, বাগান থেকে গাছগাছালি ও কাঁচা চা-পাতা চুরি হচ্ছে। গাছ চুরি হয়ে যাওয়ায় টিলাগুলো বৃক্ষ শুন্য হয়ে পড়ছে। এজন্য চা গাছেও ছায়া থাকবে না। ফলে বাগানের ও শ্রমিকদের বড় ধরণের ক্ষতি হবে। এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা প্রশাসনকেও বলেছি।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর চা বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক এম.বি.সাজ্জাদুর হক গাছ কর্তনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্রমিকরা জ্বালানি কাঠের জন্য মরা গাছ কাটছেন। সামনে দুর্গাপূজা আসছে, তাদের জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন থাকায় গাছ কেটে নিচ্ছেন। তবে জীবিত ও বৃহদ মাপের গাছ কাটা হলে নিশ্চিত করে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে রাজকান্দি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, চা বাগান থেকেও গাছ কর্তন করতে হলে বনবিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। এবিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT