বর্ণবাদ, মুসলিম এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে
ঐক্যবদ্ধ হোন
টমি রবিনসন এবং ডানপন্থীদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে, ২৮ সেপ্টেম্বর ট্রাফালগার স্কোয়ারে বর্ণবাদ বিরোধী একটি পাল্টা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
‘স্ট্যান আপ টু রেসিজমে’র বিভিন্ন শাখা, যার মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস সহ বাঙালির নেতৃত্বাধীন ‘ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট রেসিজম, ফ্যাসিজম অ্যান্ড ইসলামোফোবিয়া’ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী বাঙালিরা হলেন রাজনউদ্দিন জালাল, সয়ফুল আলম, লুকমান উদ্দিন, রফিক উল্লাহ, শফিক আহমেদ, সৈয়দ গুলাব আলী, শেখ নূর, শহীদ আলী এবং আনসার আহমেদ উল্লাহ।
ট্রাফালগার স্কোয়ারে পাল্টা-ডেমোতে ফ্যাসিস্টদের একটি ক্ষুদ্র দল আসলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী বিরোধীদের সংখ্যাই বেশি ছিল। এটা ছিল ট্রাফালগার স্কোয়ারে ফ্যাসিবাদী “ইউনাইট দ্য কিংডম” ‘ডেমো’ এর একটি মহাকাব্যিক ব্যর্থতা।
আদিবাসীদের উপর জুলুম অত্যাচার বন্ধ ও পার্বত্য অঞ্চলের শায়ত্ব শাসনের দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ
শায়ত্ব শাসন এবং শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে
লণ্ডনে “জুম্মা পিপলস নেট ওয়ার্কের” সমাবেশ
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বাঙ্গালী বসতকারীদের জুলুম অত্যাচার বন্ধ এবং পার্বত্য অঞ্চলের শায়ত্ব শাসন এবং শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে-লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশের আদিবাসি সম্প্রদায় “জুম্মা পিপলস নেট ওয়ার্কের” প্রধান শিরোনামে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস দশ নাম্বার ডাউনিং ষ্ট্রীটের সামনে সমাবেশ করেছে।
২৮সেপ্টেম্বর শনিবার ২০২৪ লন্ডন সময় দুপুর দুই ঘটিকায় ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে সমাবেশে অংশ নেয় শতাধিক আদিবাসী নারী-পুরুষ ও শিশু। ঘণ্টা ব্যাপী সমাবেশে বক্তারা বলেন ১৯৭৯ সালের পর থেকে আদিবাসীরা বাঙ্গালী সেটেলার ও আইনশৃঙ্লা বাহিনীর দ্বারা ক্রমাগত ভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের কোন সরকারই আদিবাসীদের উন্নয়ন করেনি। বিশেষ করে ইদানিং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেছে। গেল জুন মাস থেকে এযাবত পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫০০টিরও বেশি আদিবাসিদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বাঙ্গালী বসতকারীদের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামে(সিএইচটি) আদিবাসী সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। বসতকারী বাঙ্গালীদের হামলায় জুনান চাকমা, ৭০ বছর বয়সী ধন রঞ্জন চাকমা, রুবেল ত্রিপুরা এবং লেনিন চাকমা সহ অন্তত নয়জন নিরীহ আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি হাসপাতালে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এসব মৃত্যুর পাশাপাশি দীঘিনালা সদরে শতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সহিংসতায় শতাধিক আদিবাসী নারী পুরুষ আহত হয়। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো শতাধিক বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সমাবেশ শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপিতে আদিবাসীদের জানমাল রক্ষায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। প্রিয়ন্তি চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুব্রত চাকমা, অভি বড়ুয়া, পবন বড়ুয়া, লাল আমলাই ও আশু চাকমা প্রমুখ।