মুক্তকথা: দুনিয়ার বড় বড় শহরগুলোতে খাদ্যের অপচয়ের হিসাব দিতে গেলে দস্তুরমত দেশে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার মত অবস্থা হবে। বিশ্বের এসব শহরগুলোতে যে কি পরিমাণ খাদ্য-সামগ্রী বিনষ্ট করা হয় তা’ অনেকেই ধারণাই করতে পারবে না। বিশ্বে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রির তিনভাগের একভাগ খাদ্যদ্রব্য মানুষের বসে খাবার মাদুর বা টেবিলে আসতেই পারেনা। বিগত ১০ বছরের এক গবেষণায় উপরের তথ্য পাওয়া গেছে।
খাদ্যসামগ্রীর ক্ষয়-ক্ষতি এবং বিনষ্টের পরিমান উন্নত আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায় সমানই। তবে বন্টন ব্যবস্থায় রয়েছে অনেক বেশ-কম। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শতকরা ৪০ভাগ খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয় সংগ্রহের পর বন্টন প্রক্রিয়ায়। আর উন্নত বিশ্বে ঠিক সমপরিমাণ খাদ্য সমাগ্রী বিনষ্ট হয় খুচরা বিক্রি ও ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে।
ইউরোপীয়ান কমিশনের অনুমানিক হিসেবে প্রায় ৯০০ লক্ষটন খাদ্য-দ্রব্য সরবরাহ পর্যায়ে নষ্ট হয় সারা ইউরোপে। যার মাথাপিছু হিসেবে নষ্টের পরিমান ১৮০কেজি প্রতিদিন। ফসলের ক্ষেত থেকে শুরুকরে ভোক্তার নিকট পৌঁছা অবদি খুচরা বিক্রেতার থারিয়ায় পৌঁছা পর্যন্ত এ পরিমানের বিনষ্ট হতেই থাকে।
লন্ডনের “ওয়েষ্ট লন্ডন ওয়াষ্ট” এর এক জরীপে দেখা গেছে ২০১১ সালে প্রায় ৭৭ হাজার টন খাদ্যসমাগ্রী জমিভরাটের কাজে লাগানো হয়েছে যার মূল্য দাড়ায় ৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ড। তাদের জরীপে আরো পাওয়া যায় যে প্রতিদিন প্রায় ২৪ মিলিয়ন পাউরুটির টুকরা ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়। প্রতিদিন ৫.৮ মিলিয়ন আলু আবর্জনা রাখার বাক্সে ফেলে দেয়া হয়।
লন্ডনের মত একটি মাত্র শহরে এতো বিপুল পরিমান খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করা হয় যে তা দিয়ে যে কোন দরীদ্রদেশের কয়েককোটী মানুষকে কম করেও একবেলা পেটপুরে খাওয়ানো যায়।