মাঠ জরিপের সময়ে ভূ-বাসন কর্মীদের ভুলের কারণে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর মৌজায় সাড়ে ৪ কেয়ার(১৩৫ শতক) আবাদি জমি হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন জমির মালিকরা। স্থানীয়ভাবে বসবাসরত না থাকার কারণে জমির মালিকানা নিয়ে বড় ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শমশেরনগর ইউনিয়নের সারঙ্গপুর গ্রামের মো.আব্দুল হামিদের মৌরসী সম্পত্তির চাষাবাদকৃত ভূমির কিছু অংশ ডিসি খতিয়ানে চলে যাওয়ায় তারা চরম উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
জানা যায়, শমশেরনগর ইউনিয়নের সারঙ্গপুর গ্রামের মো. আব্দুল হামিদ ও তাঁর পরিবার সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে চাকুরী ও কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিগত ভূমি জরিপকালীন সময়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির কিছু অংশ ডিসি খতিয়ানে চলে যায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)এর পার্শ্ববর্তী রাস্তার সাথে জমিগুলো নথিভূক্ত হয়। এতে বড় ধরণের ক্ষতি গুণতে হচ্ছে জমির মালিকদের।
অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি মো. আব্দুল হামিদ ও তাঁর ছেলে মো. আব্দুল হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভূমিজরীপ চলাকালীন আমরা বাড়িঘরে ছিলাম না। চাকুরীর কারণে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করি। এই সুযোগে ভূমি জরীপের কতিপয় মাঠকর্মী ও কর্মকর্তা আমাদের সোনাপুর মৌজার ৪৮নম্বর জেএল এর এসএ দাগ নম্বর ৮২৯, আর,এস দাগ নম্বর ১২১৫ ও ১২১৬ এর ভোগদখলীয় ও মৌরসী সম্পত্তির জমিগুলো ডিসি খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে আর.এস ১১৯৫ নামে একটি নতুন দাগ সৃষ্টি করায় ব্যাপক জটিলতার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে আমরা হতবাক হয়ে পড়ি।
তারা আরও বলেন, শমশেরনগর সোনাপুর থেকে গোপালনগর যাতায়াতের রাস্তার পার্শ্ববর্তী ওই জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) সড়ক। বর্তমানে ডিসি খতিয়ানে জমি অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এলজিইডি রাস্তাটি সম্প্রসারণ করলে তারা বড় ধরণের ক্ষতি গুণতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নতুন আর.এস ১১৯৫ নাম্বার দাগ বাতিল পূর্বক আর.এস ১১৯৭ দাগে বহালকৃত পূর্বের রাস্তা ও জমি অক্ষুন্ন রাখার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইজ্জাদুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামের আব্দুল হামিদ ও তার পরিবার সদস্যদের মৌরসী সম্পত্তির কিছু অংশ ডিসি খতিয়ানে যুক্ত হয়েছে। এই জমি উদ্ধারে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালাতে হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. রইছ আল রেজুয়ান বলেন, এ বিষয়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হলে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।