মৌলভীবাজার জেলা হাওর সমৃদ্ধ বলে গণ্য হলেও হাওরের বিল গুলোতে উৎপাদিত মাছ জেলার সাধারণ ভোক্তা মহলের নাগালে আসছে না। হাওর থেকে সংগৃহীত মাছের সিংহ ভাগ ট্রাক বুঝাই হয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জেলাতে মাছের আধার বলে গণ্য হচ্ছে এশিয়ার বৃহৎ হাকালুকি হাওর, রাজনগরের কাউয়াদীঘি, শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর, বাইক্কাবিল ও বড় হাওর সহ বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় অনুমানিক ৪’শ টি বিল।
এসব হাওর ও বিলে প্রজনন মৌসুমে ছোট ও বড় প্রজাতির মাছের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে। বর্ষার মৌসুমে বিপুল জলরাশি কমতে শুরু করলেই জেলেদের জালে ছোট-বড় প্রজাতির মাছ ধরা পড়তে শুরু করে। বর্তমানে হাওরের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিল গুলোতে জেলের জালে ছোট ও বড় প্রজাতির পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে। কিন্তু ধৃত এই মাছ জেলার সাধারণ ভোক্তাগন কিনতে পাচ্ছেন না। তাই মাছের জেলায় মাছের সংকট রয়েই গেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উৎকর্ষতার কারণে হাওরের কিনারেই ছুটে যায় ফড়িয়াদের ট্রাক। চড়া দাম পেতে জেলেরা ফঁড়িয়াদের নিকট মাছ বিক্রি করে দিচ্ছে ভোর রাতে। ফঁড়িয়ারা সংগৃহীত মাছ বরফ আচ্ছাদিত করে পাঠিয়ে দিচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। তাই হাওর সমৃদ্ধ জেলায় মাছের আকাল লেগেই আছে। স্থানীয় ভোক্তাদের চাহিদা মিটাচ্ছে যশোর ও ভারত থেকে আগত রুই, বাণিজ্যিক খামারের তেলাপিয়া এবং পাঙ্গাস মাছ। রাজনগর উপজেলার হাওর কাউয়াদীঘির পারের আমিরপুর গ্রামের শাহ আলম ও কান্দি গ্রামের মসাহিদ সহ অনেকেই জানান, কাউয়াদীঘি হাওরের ধৃত মাছ ফঁড়িয়ারা ট্রাক বুঝাই করে কোথায় পাঠায় জানি না। তবে এ মৌসুমে হরেক প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে এবং বিক্রিও হচ্ছে ভালো মূল্যে। আমাদের স্থানীয় বাজারগুলোতে এসব মাছ পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে একই ভাবে জেলার হাইল হাওর, হাকালুকি হাওর সহ বিভিন্ন হাওর ও বিলের একাধিক কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে প্রায় ২০ ট্রাক মাছ প্রতিদিন চালান হচ্ছে বাইরের মোকামে।