মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। আজ শনিবার, ৭ই সেপ্টম্বর ২০১৯, সকাল -১১ঘটিকায় , স্থানীয় আর কে কমপ্লেক্সের সামনে সচেতন মৌলভীবাজারবাসীর উদ্দ্যোগে খেয়াঘাট- সাবিয়া ফুটব্রিজের দাবীতে এক মানববন্ধন ও পথসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জনাব অপু প্রেন্টিস, এডঃ পার্থসারতি পাল, সোহেল সামাদ খান পলাশ, কবি পুলক কান্তি ধর, বাবুল দেব, নিখিল তালুকদার, ফেরদৌস আলম মাসুদ, সাহেদ আহমদ (মেম্বার), মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলের ছাত্র ইশান দেব দিপ্ত প্রমুখ।স্থানীয় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জনাব আ স ম ছালেহ সুহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত পথসমাবেশ সঞ্চালনা করেন জনাব হাসান আহমদ রাজা। নেতৃবৃন্দ শহরের যানজট নিরসনসহ অন্যান্য যাতায়াত সুবিধার জন্য খেয়াঘাট – সাবিয়া ফুটব্রিজ আশু নির্মাণের দাবী তুলে ধরেন।
সাবিয়া খেয়াঘাটে একটি “ফুটব্রিজ”এর প্রয়োজনীতা ও এর ন্যায্যতা বিষয়ে সভায় বক্তাগন বিশদ ব্যাখ্যায় তুলে ধরেন। তারা এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান , পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দ্যোগী ভূমিকা নিয়ে এই এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাগব করার আহবান জানান।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, গত ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৯সাল থেকে মৌলভীবাজার শহরে সিএনজি, বেবীটেক্সী ইত্যাদি যানবাহন কুসুমবাগ এলাকা থেকে চৌমুহনা পর্যন্ত তাদের যাত্রীভাড়া মাথাপিছু ৫টাকা থেকে ১০টাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে।
সিএনজি, বেবীটেক্সীচালকদের দাবী জেলা প্রশাসন গাড়ীতে ৩(তিন) জনের বেশী যাত্রী বহন না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তাদের প্রয়োজনীয় দৈনিক রোজগারের পরিমাণ ঠিক রাখতে বাধ্য হয়েই তারা ভাড়ার পরিমান বাড়িয়েছেন। পথ সমাবেশে বক্তাগন বলেন যে সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন আর খেসারত দিতে হবে সবসময়ই জনসাধারণকে এমন বিষয় কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের একজন পুরানো বাসীন্ধা বলেন, বেবী চালকদের কোন সমস্যা নেই, আগে তারা নিতো পাঁচজন, পেতো ২৫/- টাকা। এখন নিচ্ছে তিনজন, পাচ্ছে ৩০/- টাকা। নিরাপত্তার প্রশ্নে শত সমস্যা থাকা সত্বেও, শহর এলাকার ভেতরে সকল শ্রেণীপেশার মানুষই ক্ষুধে এই যানবাহনগুলি ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্কুলে যাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীরাও ব্যাপকভাবে এ ক্ষুধে যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। এখন থেকে তাদের দ্বিগুন ভাড়া গুণতে হবে। এতে ভীষণ সমস্যায় পড়বে শহর ও তার আশপাশের অল্প আয়ের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী। এসকল মা-বাবাদের যাতায়াত খরচ আরো বেড়ে যাবে। ফলে এমনিতেইতো তারা দূর্ভোগে আছেন তার উপর ভাড়ার এ বাড়তি বোঝা তাদের কাছে ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’এর মতই জীবনযাত্রাকে দূর্বিসহ করে তুলবে।
তিনি এই বাড়তি ভাড়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন , ‘সরকারি কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে ঠিকই কিন্তু সে সাথে সাধারণ মানুষের আয়তো বারেনি। তাই সকল শ্রেণীপেশার সাধারন মানুষদের স্বার্থে এই ভাড়া ৫/- টাকা বহাল রাখার দাবী জানাচ্ছি।’ একই সাথে অবিলম্বে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পূর্ণবিবেচনা করার আহবানও তিনি জানান।
উল্লেখ্য সভায়, কুসুমবাগ-চৌমুহনা সিএনজি ভাড়া ৫/- টাকার দাবী মেনে নেওয়ায় মানববন্ধনে পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
|