মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। এটি কি ঠিক যে মানবেতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক শেষ কথাটি কি ছিল(?) আজো কেউ জানতে পারেনি।
যতদূর জানা যায়, সে ছিল এক হাসপাতালে নিরানন্দ বিষন্ন এক রাতের কাহিনী। এ বিশ্বের সবচেয়ে মহান একজন মানুষ যার জনম দুনিয়াকে ধন্য করেছিল; দুনিয়ার মানুষ এগিয়ে যাওয়ার ভরসা পেয়েছিল যে মানুষের কাছ থেকে সেই মানুষটি তার জীবনের শেষ কয়েকটি মূহুর্ত পাড় করছিলেন। বুদ্ধী, মেধা ও জ্ঞানের এমন সমন্বয় বিশ্বের খুব কম মানুষই পেয়েছে। মেধা ও বোধকে তিনি এমন সমন্বিত করে জ্ঞানের বিকাশ ও প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন যে এর থেকে দুনিয়ার মানুষ অনেক অনেক আবিষ্কারের আশীর্বাদে পুষ্ট করেছে দুনিয়ার জ্ঞানভাণ্ডার। যুগের পর যুগ তাকে স্মরণ করেও মানুষের তৃপ্তি আসবে না, তাকে নিয়ে চর্চ্চা হবে অনাদি অনন্তকাল অবদি। মানুষের তাকে স্মরণ করতেই হবে বেঁচে থাকার প্রতিটি শ্বাস ও নিঃশ্বাসে। তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন এবং আছেন তার লেখনিতে, তার ধ্যানে, তার ব্যাখ্যায়, অংকে কিংবা নমুনায়।
আক্ষেপের বিষয় হলো সেই মানুষটি যখন হাসপাতালে তার জীবনের শেষ শয্যায় শায়িত, নিচ্ছিলেন শেষ নিঃশ্বাস, অনন্ত অসীমের চেতনায় তিনি শেষ কিছু শব্দ বিড় বিড় করে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই কথাগুলি কোনদিনই জানতে পারবে না এ পৃথিবী। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং বিজ্ঞানী আইনস্টাইন!
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকায় স্থানান্তরীত হয়ে আলবার্ট আইনস্টাইন ইংরেজী শিখেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ কথাগুলো বিড় বিড় করে বলেছিলেন তার মায়ের ভাষা জার্মানীতে, কথ্য জার্মানীতে। যে কোন মানুষের জন্য এ ছিল খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু হায় হতোস্মী! খুবই প্রয়োজনীয় দুর্লভ সে সময়টাতে হাসপাতালে রাত্রীকালীন যে নার্স ছিলেন তিনি জার্মান জানতেন না, তিনি শুধুই ইংরেজী ভাষা জানতেন। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। বিশ্ববাসী আইনস্টাইনের জীবনের শেষ মুহুর্তের কথাগুলো কোন দিনই জানতে পারবে না। সংগৃহীত