1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মৌলবীবাজারের নিম্নাঞ্চলে বন্যা - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

মৌলবীবাজারের নিম্নাঞ্চলে বন্যা

মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ॥
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪
  • ২২৫ পড়া হয়েছে

কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ পৌঁছেনি

 

মৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর সেতু পয়েন্টে পানির বিপদসীমা মূলতঃ ৮.৫৫ সে:মি:। ভারতের পাহাড়ী ঢল ও গেল কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপদসীমা অতিক্রম করে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ সে:মি: পৌঁছেছে। এদিকে মৌলভীবাজার শহর দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া মনূ নদে গেল ৩ দিন ধরে পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কমে গিয়ে বিপসীমায় এসে দাড়িয়েছে। মনূ নদ শহরের চাঁদনীঘাট সেতুতে বর্তমানে পানির উচ্চতা ১১.৩০ সেমি:।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কুশিয়ারা নদী পাড়ে গেলে দেখা যায়, তীরের মানুষের সবার ঘরে ঘরে হাঁটুসমান পানি উঠেছে। বসতির মায়ায় পড়ে এসব পানি বন্দি মানুষ ঘরের খাটের উপর বসে সময় পাড় করছেন। গবাদি পশুগুলো পাশের ওয়াপদা সড়কে নিয়ে রেখেছেন। নদী পাড়ের কিছু মানুষও ওয়াপদা বাঁধে বাস করছেন।

 

নদী পাড়ের ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়, স্কুলে প্রায় শতাধিক পানি বন্দি মানুষ উঠেছেন। স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ সদস্য নিয়ে গ্রামের মিরাস মিয়া ও জাসনা বেগম বলেন, ৪দিন যাবৎ আশ্রয় কেন্দ্রে এসে অবস্থান করছি। সামান্য চিড়া আর মুড়ি পেয়েছি। আমাদের সাথে এখানে শিশু ও বয়োবৃদ্ধসহ শতাধিক মানুষ রয়েছেন। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় সবাই কষ্ট পাচ্ছেন।

গ্রামের শাহাব উদ্দিন, আছকির মিয়া, ইলিয়াছ আহমদ(এলাইছ) আব্দুল্লাহ ও কাউছার আহমদ বলেন, কুশিয়ারা পাড়ের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন না করায় শতাধিক মানুষ না খেয়ে আছেন।

নদী পাড়ের উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তারা জানান, মুড়ি আর চিড়া ছাড়া এখনো কিছুই পাওয়া যায়নি। তারা দ্রুত জেলা প্রশাসনসহ সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের দাবী জানান। উত্তরভাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মাসুক মিয়া বলেন, সুনামপুর আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো কেউ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসেননি।

 

ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ ওলিউর রহমান বলেন, তার ওয়ার্ডের কান্দিগাঁও ও রামপুরে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এখানে ৭০ জন পানি বন্দি বসবাস করছেন। তিনি বলেন, এখনো তার ওয়ার্ডে কোন ত্রাণ সামগ্রী এসে পৌছায়নি।

এদিকে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, কুশিয়ারা পাড়ের উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নে ১১ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বণ্ঠনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, জরুরী একটি ফোন এসেছে, আপনাকে পড়ে ফোন দিচ্ছি।

এদিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বলেন, কুশিয়ারায় শুক্রবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী পাড়ের ওয়াপধা বাঁধের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় আমরা বস্তা রেখেছি, যাতে কাউয়াদিঘী হাওরে পানি প্রবেশ করতে না পারে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া মনূ নদের জুগীঢর এলাকার বাঁধ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ৬ হাজার বালুর বস্তা ড্রাম্পিং করেছি। ওই প্রকৌশলী বলেন, মনূ নদে পানি কমে যাওয়ায় আতঙ্কও কমেছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT