আব্দুল ওয়াদুদ।। পাঠদান শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ দ্বিতীয় বর্ষে পড়–য়া সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে শহরের বেরিরপাড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত সুমাইয়া সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার লুৎফুর রহমানের মেয়ে। এঘটনায় সুমাইয়া’র পিতা বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে পাঠদান শেষে বাড়ি ফেরার পথে সুমাইয়া পৌর শহরের বেরিরপাড় এলাকায় আসে। তাৎক্ষনিক সালাম নামের এক বখাটে সুমাইয়াকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেটকারে উঠার কথা বলে। তার কথা মতো সুমাইয়া গাড়িতে না উঠায় তাকে মারধর করে আহত করে সে। পরে আত্মরক্ষার্থে সুমাইয়া চিৎকার করলে তাকে রাস্তায় ফেলে সে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা এসে সুমাইয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মৌলভীবাজার মহিলা কলেজের শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “আহত অবস্থায় মেয়েকে তার বাবা কলেজে নিয়ে আসেন। পরে আমরা বিষয়টি প্রশাসন ও পৌর মেয়রকে জানিয়েছি।
মোস্তফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, এর আগেও মেয়ের বাবা একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছিলেন ওই ছেলের বিরুদ্ধে। সে ওই মেয়েটিকে নানাভাবে উত্যক্ত করত। পরে ছেলেকে ডেকে এনে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, একই এলাকার সালাম নামের ওই ছেলেটি ওই মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। সে সুমাইয়াকে বিয়ে করতে পারিবারিকভাবে আলাপও দিয়েছিল। এরই সূত্র ধরে মান অভিমান করে যা হয় আর কি। তিনি আরো বলেন, মেয়েটি কলেজ শেষে একটি টমটমে উঠলে সেও ওই টমটমে উঠে। প্রাইভেট কারে করে কেন নিয়ে যেতে চাচ্ছিল জানতে চাইলে ওসি এ প্রতিবেদককে বলেন, “এগুলো ভকাস কথা।” আমরা থানায় মামলা নিয়েছি। হামলাকারীকে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।