আব্দুল ওয়াদুদ মৌলভীবাজার থেকে।। গত দুদিন ও গতকাল বুধবার বৃষ্টি পাত না হওয়ায় মনু ও ধলাই নদীর পানি কমতে থাকায় মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে মনু ও ধলাই নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ
ও রাজনগরে মনু ও ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ১১টি স্থানে ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে তিন উপজেলার শতাধিক গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যায়। এখনও মনু নদীর ৬টি ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরকারী ভাবে এ পর্যন্ত কোন ত্রান সামগ্রী এলাকায় পৌছায়নি। বেসরকারী ভাবে ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান বন্যা দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভায় বন্যা আক্রান্ত সাড়ে তিন’শ পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল, ১ কেজি আলু, আধা লিটার তেল ও আধা কেজি ডাল বিতরণ করেছেন পৌর মেয়র ফজলুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমন সহ পৌর কাউন্সিলর বৃন্দ।
গতকাল বুধবার রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউপির কোনাগাঁও এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর মৌলভীবাজার জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান। এসময় তিনি ৪৬জন ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনগর উপজেলা আমীর আবুর রাইয়ান শাহিন, টেংরা ইউপি সভাপতি এমএম রহমান, সেক্রেটারী আলমগীর হোসেন রাজন, মুহাম্মদ আলী, আব্দুস সামাদ ও মিনাজ প্রমূখ।
কয়েক দিনের প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও রাজনগরে মনু ও ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ১০টি স্থানে ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ৪ উপজেলার শতাধিক গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যায়।
এখনও মনু নদীর ৬টি ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। মনু ও ধলাই নদীর পানি কমে বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানিয়েছেন মৌলভীবাজারে পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে মনু ও ধলাই নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।