মৌলভীবাজার অফিস।। রাজনগর তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দ্বাদশ বর্ষের ছাত্রী শাম্মী বেগমকে(১৮) গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাতে ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার করিমপুর মোকামবাড়ি এলাকার তমজির আলীর পুত্র বরকত হোসেন সুমন (২০), একই উপজেলার সোনাটিকি গ্রামের ছকা মিয়ার পুত্র মাজহার মিয়া (২৫), কাছারি গ্রামের মকবুল মিয়ার পুত্র দিপু মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের গনি মিয়ার পুত্র আলকুম মিয়া (২৩)।
মেয়ের বাবা হারুন মিয়া গত ১৯-৫-২০১৭ ইং তারিখ ওই চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে একটু দুরে জঙ্গলে তার লাশ পাওয়া যায়। রাজনগর থানার পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের কাচারী করিমপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে শাম্মী বেগম (১৮) তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সে শৌচাগারে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের বেশ কয়েকজন। পরদিন শুক্রবার সকালে হারুন মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশের জমিতে লোকমান মিয়া মহিষ চড়াতে যান। এসময় একটি মহিষ পাশের মছকন মিয়ার একাশিয়াম গাছের জঙ্গলে ঢুকে যায়। তিনি ওই মহিষ আনতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে লাশ সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে বিকাল ৪টার দিকে মৌলভীবাজার থেকে পিবিআই ও সিআইডির লোকজন আসেন। মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল ও সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পিবিআই ও সিআইডি লাশের আশপাশ হলুদ ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখে। লাশের মুখে বেশ কিছু নখের দাগ ও ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যায়। রাজনগর থানার ওসি শ্যামল বনিক বলেন, ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে চার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরদিন শনিবার বিকেলে আদালতেও পাঠানো হয়েছে। এদিকে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শনিবার তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ১৫শ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহনে কলেজ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। সমাবেশে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়।