ডঃ কামাল হোসেন ও মোস্তফা মোহসীন মন্টু’র নামে গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম পথিক স্বাক্ষরিত একখানা প্রেসবিজ্ঞপ্তি বেশ আগেই আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়। খবর যাচাই ও কাজের চাপে বিজ্ঞপ্তিখানা পত্রস্ত করতে একটু দেরি হয়ে গেলো। আমাদের ক্ষমতা বহির্ভূত এ দেরির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রেরীত উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্ততে বলা হয়েছে- দেশে বিরাজিত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জনমনে নানা শংকাকে সামনে রেখে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু এক যুক্ত বিৃবতিতে বলেছেন “২০১৮ সাল জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে কিনা; এসব নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকলেও ক্ষমতার পালাবদলে নির্বাচনই একমাত্র সাংবিধানিক উপায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিজ্ঞ বিচারিক আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ পক্ষ উচ্চতর আদালতে আপীল করবেন মর্মে শুনা যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় উক্ত মামলার রায় নিয়ে সমাজে বিভিন্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি। তবে এ মামলার একটা ইতিবাচক দিক হচ্ছে রাষ্ট্র ক্ষমতা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জবাবদিহিতার আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, হল মার্ক কেলেঙ্কারী, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারী, সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারী, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারী, ফার্মাস ব্যাংক কেলেঙ্কারী ও সর্বশেষ জনতা ব্যাংকের ৫৪০৮ কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারী সহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের অর্থ লুটপাট ও পাচারের বিষয়টি অচিরেই বিচারের আওতায় আসবে এবং লুটপাটকারী ও সহায়তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে জনগণ প্রত্যাশা করছে।
বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন- রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরের আর্থিক শৃংখলা ফিরিয়ে এনে একটি জনকল্যাণমুখী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে, “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ”কে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাত্ত্ব আহ্বান জানাচ্ছি।
বার্তা প্রেরক,
রফিকুল ইসলাম পথিক
প্রশিক্ষণ সম্পাদক,
গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি
মোবাইল : ০১৭১২-০৪৭৮৭০
১১-২-২০১৮