হত্যা মামলার আসামী আটক
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নের নড়িয়া গ্রাম থেকে মিশ্রাফ খান হত্যা মামলার আসামি সৈয়দ আজাদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-৯)।
বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৯ তাকে গ্রেপ্তার করেন। র্যাব সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সোনাটিকি গ্রামে মিশ্রাফ খানের সঙ্গে প্রতিবেশী সৈয়দ জুয়েল আলীদের পূর্বের বিরোধ ছিল। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মিশ্রাফ খান বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবায় মাছ ধরতে গেলে গ্রেফতারকৃত সৈয়দ আজাদ আলী ও সৈয়দ জুয়েল আলীর লোকদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তার। এক পর্যায়ে সৈয়দ আজাদ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে মিশ্রাফ খান মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মিশ্রাফ খানের চাচাতো ভাই নুরুল আমিন খান বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেফতারকৃত সৈয়দ আজাদ আলী এ মামলার ৪ নম্বর আসামি।
র্যাব-৯ এর এসআই মো. সোহেল রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। রাজনগর থানা জানায় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
![]() |
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হন।
কারিমা বেগম হত্যা মামলায় আসামী মঞ্জুর মিয়া গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। কমলগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মঞ্জুর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগান বাজারে পূর্ব শত্রু তার জেরে কারিমা বেগমকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান মঞ্জুর। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক করিমাবেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।