মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার শহরে ‘টমটম’ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উদ্দেশ্য মানুষ ও যান চলাচল বাধা-বন্ধনমুক্ত রাখা। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছিলাম অনেকেই ‘টমটম’ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে কার্য্যকর বলে মনে করেননি। আমরাসহ অনেকেই টমটম চলাচল বন্ধ না করার পক্ষে মত দিয়েছিলাম। প্রশাসন কোন বিশেষ কারণে মনে করেছিলেন ‘টমটম’ চলাচল বন্ধ রাখলে হয়তো যানবাহনের চলাচল সমস্যা দূর হবে। কিন্তু ‘টমটম’ বন্ধ রাখার পরবর্তী অবস্থা আদৌ পক্ষে নয় বরং উল্টো ফল দিচ্ছে। যানযট দেখতে আগের তুলনায় বেশী ভুগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
এর আগেও তিনি ফেইচবুকে লিখেছিলেন আজও সেই সাংবাদিক হাসনাত কামাল তার ফেইচবুকে লিখেছেন- শহরে টমটম নেই। তবুও যানজটে কোর্ট রোড, চৌমোহনা অস্থির। প্রধান কারণ যেখানে সেখানে দায়িত্বজ্ঞানহীন পার্কিং। শহরে যান চলাচল শৃংখলার মধ্যে আনতে পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার জরুরী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। অবৈধ পার্কিংয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি শ্রীমঙ্গল পুলিশের কথা উল্লেখ করেছেন।
বহুবিদ কারণের মাঝে সকলের চোখে পড়ার মত যানজটের প্রধান কারণগুলি হাসনাত যা বলেছেন মূলতঃ তাই। যেখানে সেখানে রিক্সা গাড়ী পার্ক করে রাখা যেহেতু তাদের নির্দিষ্ট পার্কিং এর কোন সুব্যবস্থা নেই। ব্যক্তিমালিকানাধীন কার ও মটরসাইকেল গুলির একই অবস্থা। তাদের অধিকাংশেরই নিজস্ব কোন পার্কিং সুবিধা না থাকায় তারাও যত্রতত্র ইচ্ছেমত পার্ক করে রাখেন। আমরা কেউই যানযটের বিশেষজ্ঞ নই ঠিকই তবে ছোট্ট একটি শহরে যানজট কেনো হচ্ছে তা মনে হয় খুঁজতে খুব বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। আমরা মনে করি না বিষয়টি এতোই জঠিল যে শহরে যারা রিক্সা, বেবিটেক্সি আর টমটম চালাচ্ছে তাদের নেতৃস্থানীয় কতিপয়ের সাথে আলাপে বসতে হবে। বড় বড় শহরে এমন সভা সমিতি করতে হয়, কারণ ওইসব শহরে পরিবহন শ্রমিকের সংখ্যা এতো বেশী যে তাদের রুটি-রোজগারের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। এখানে শহরের পরিধি এতো ব্যাপক নয়। এখানে সমস্যা হবে শহরের ভেতরে কয়েকটি পার্কিংয়ের জমি খুঁজে বের করা।
আমাদের ধারণা প্রশাসন হয়তো অনুরূপধর্মী বিশেষ কিছু পরীক্ষা করছেন। এ ছাড়া ভিন্ন কোন কারণ আমরা বস্তুতঃ দেখতে পাচ্ছি না। টমটম ছাড়াই শহরে যানজটের নমুনা তুলে ধরার জন্য হাসনাত কামাল রোববার পৌনে ২টার দিকে তোলা কয়েকটি ছবি দিয়েছেন তার ফেইচবুকে। তার একটি এখানে দেয়া হল।