জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যায় ধৃত আততায়ী তেতসুয়া ইয়ামাগামি আসলে শিনজো কে মারতে চাননি। যে ব্যক্তি তেতসুয়ার নিশানায় ছিলেন তিনি একজন ধর্মগুরু। তিনি তেতসুয়ার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে তার অভিযোগ। আর এ জন্যই তেতসুয়ার লক্ষ্যে ছিলেন সেই ধর্মগুরু, শিনজো আবে নন। ধর্মীয় সংগঠনের এই নেতাকেই হত্যা করতে চেয়েছিলেন ধৃত আততায়ী তেতসুয়া ইয়ামাগামি। পুলিশি জেরায় তিনি দাবি করেন শিনজো আবে তার মূল লক্ষ্য ছিল না। জাপানি সংবাদমাধ্যম ‘কিয়োডো নিউজ’-কে পুলিশ সূত্র এসব কথা জানিয়েছে। গত ৮ জুলাই শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টা নাগাদ এক প্রচার অভিযানের মাঝে বক্তৃতাদানের সময় বন্দুক হামলার শিকার জন শিনজো আবে। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারী ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইমাগামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলি করার পরই এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিল তেতসুয়া। অবশ্য পালাতে পারেনি। পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। বাড়িতে তৈরি শটগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো তেতসুয়া পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সে শিনজো আবেকে হত্যা করেছে তবে, হামলা করতে চেয়েছিল অন্য একজনকে। যে ব্যক্তি তেতসুয়ার নিশানায় ছিলেন তিনি একজন ধর্মগুরু। তিনি তেতসুয়ার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ তেতসুয়ার। সেই ধর্মগুরুকে হত্যা করতে চেয়ে শিনজো আবের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তেতসুয়া। তবে প্রয়াত শিনজো আবে নিজ শাসনকালে ওই ধর্মগুরু ও তার সংগঠনকে আরও প্রচারে নিয়ে আসেন এমনই অভিযোগ তেতসুয়ার। আর সেজন্য শিনজোর ওপরেও তিনি ক্ষুদ্ধ ছিলেন। শিনজোর রাজনৈতিক বিশ্বাসের প্রতি তেতসুয়ার ক্ষোভ ছিল না, রাগ ছিল ওই ধর্মীয় গুরুকে নিয়ে। জাপানের নারা শহরে তেতসুয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বহু অস্ত্র , বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। |