সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ১০ই অক্টোবর ২০২০ ইং, তারিখ সম্পাদক/বার্তা সম্পাদক, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকা এবং উপজেলা ও জেলা প্রতিনিধি বরাবর পাঠানো বক্তব্যটি একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে আমার বিলম্বে দৃষ্টিগোছর হয়েছে।
তিনি তার বক্তব্য উল্লেখ করেছেন শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে ওই তারিখে কে বা কাহারো মানববন্ধন করেছে তার সাথে সুজন এর কোন সম্পর্ক নেই।
আমি বা আমরা ওই মানববন্ধনের আয়োজক হিসাবে এর উত্তর দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
এটা তার পক্ষে বলা অস্বাভাবিক নয়। কারণ তিনি যেহেতু পক্ষপাতিত্বকারী অন্যায়ের সমর্থন ও প্রশ্রয়কারী, তারপক্ষে এ বক্তব্য দেওয়া অসম্ভব নয়। তিনি জনাব দিলীপ সরকারসহ সুজনের সংশ্লিষ্টরা জানেন শ্রীমঙ্গলে ২০১৬ সালে সুজনের পুরানো সদস্যদের বাদ দিয়ে অন্যায় ভাবে মনগড়া এবং পকেট কিছু সদস্যদের নিয়ে একটি পক্ষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই কমিটির একটা পাল্টা কমিটি গঠন করার চেষ্ঠা হযেছিল। তখন সুজন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী ড. বদিউল আলম মজুমদার একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে শান্তিপুর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন এবং পরবর্তীতে তিনি স্বশরীরে শ্রীমঙ্গলে আসেন এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে আলাদা বসেন। তখন তিনি সুজন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী ড. বদিউল আলম মজুমদার শিকার করেছেন যে কমিটির গঠন হয়েছিল তা গঠনতান্তিক ভাবে হয়নি। তাই ওই অবৈধ্য কমিটিকে সুজন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী ড. বদিউল আলম মজুমদার মৌখিক ভাবে বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে দু’পক্ষে ৩ জন করে মোট ৬ জন সনাক টিআইবি শ্রীমঙ্গল সভাপতি সৈয়দ নেসার আহমদকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে দিয়ে যান। ওই কমিটিকে কে সহযোগীতা করেনি সৈয়দ নেসার আহমদকে জিজ্ঞাসা করলেই আরো প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
দীর্ঘদিন পর(প্রায় আড়াই বছর) জনাব দিলীপ সরকার শ্রীমঙ্গল এসে একটি পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে তার এই অন্যায় প্রস্তাবে আমাকে রাজি না করাতে পেয়ে তিনি ক্ষোব্ধ হন এবং ওই অবৈধ কমিটির অন্যায়কে সমর্থন করে তিনি ড. বদিউল আলম মজুমদার কর্তৃক কমিটিকে ভুয়া, ঠিক হয়নি বলে নিজের মনগড়া গঠনতন্তের দাবী তুলে ওই অবৈধ্য কমিটির সাথে কোন স্বার্থে হাত মিলিয়েছেন এবং নিজে কোন হীন স্বার্থ উদ্ধারে তাদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। আমি ও আমরা সুজন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীর এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এছাড়া দি হাঙ্গার প্রজেক্টের একজন মাঠ কর্মী বেতনভূক্ত কর্মচারীকে(ইউসি) যা চতুর্থ শ্রেণীর সমপর্যায়ের কর্মচারী এক লোককে জেলা কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তার অসততা ও আর্থিক অনিয়মের কারণে ২০১৮ সালে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। যা সুশীল সমাজের মানুষকে প্রতারণাই নয় তাদেরকে চরম অপমানিত করা হয়েছে। এর জবাব সুজন কেন্দ্রীয় কমিটিকে দিতে হবে।
আমার বা আমাদের বক্তব্য হলো, সুজন একটি নাগরিক প্লাটফর্ম। সৎ, স্বোচ্চার, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষের দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হয় এই সংগঠন। কিন্তু সুজনের কতিপয় আপোষকামী ও সুবিধাভোগী নেতৃত্বের কারণে বর্তমানে কিছু অসাধু লোক সুজনের বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকে পড়েছে এবং নিজস্ব এজেন্ট দ্বারা তারা তাদের হীন স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করে চলেছে। এরই ধারাবহিকতায় মৌলভীবাজার জেলায় কমিটিতে এধরণের কিছু লোক রয়েছে। তারা সুজনের মতো মহৎ নাগরিক প্লাটফর্ম ও সংগঠনকে নানা ভাবে কলুষিত করছে।
আমি বা আমরা শ্রীমঙ্গলে সুজন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী ড. বদিউল আলম মজুমদার নির্দেশিত কমিটির বাস্তবায়ন চাই। আর আমি বা আমরা এখনও বিশ্বাস করি সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুততম সময়ে তিনি তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইবেন এবং এই চিঠি প্রত্যাহার করবেন।
অন্যথায় আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই সুজন শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় ভাবে এই অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও বিরোধীতা অব্যাহত রাখব এবং একই সাথে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিনীত-
সৈয়দ ছায়েদ আহমদ
সুজন, সদস্য- শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
০১৭১২- ৫৩৮৪১৬
তাং- ১০,১১,২০২০ |