মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। পিং পং জীবন বাঁচালো নবজাতক এক মানবশিশুর। বেশ আগে এক দূর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছিল পিং পং। সে নিয়ে পিং পং-এর কোন দুঃখ ছিল না। আগের মতই চলাফেরা করতে পারে। তবে খুব বেশী দৌড়াতে পারেনা। একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে হয় তাকে।
থাইল্যান্ডে এখন পিংপং’কে নিয়ে গণ ও সংবাদ মাধ্যম খুব মুখর। এই ঘটনায় সে এখন থাইল্যান্ডের মহানায়ক হয়ে উঠেছে। আর হবেই বা না কেনো! শেষ পর্যন্ত নবজাতক মানবশিশুকে নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে পিংপং। ক’জন মানুষ তা পারে!
নিত্য দিনের মতো এঁদো ময়লার পাশ দিয়েই পিংপং হেটে যাচ্ছিল। হঠাৎই তার নজরে পড়লো মাটিতে পুঁতে রাখা এক মানবশিশুর পা। পশু মনেও জেগে উঠে মানবের প্রতি অজানা দৈব আরতি। পিংপং পা দিয়ে নবজাতকের কাছেই মাটি খুড়তে খুড়তে চিৎকার দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে। পরে যা হতে পারে! মানুষ আসে, অবাক বিস্ময়ে সকলেই দেখে এক নবজাতক শিশুকে জান্তপুঁতে রাখা হয়েছে। একটি পা বেরিয়ে পড়েছে। আর ওই পা দেখেই পিংপং-এর এমন আহাজারি।
শিশুটিকে তারাতারি তুলে হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে জীবীত পাওয়া যায়। ডাক্তাররা তাকে পরিস্কার করে পরীক্ষা করে দেখেন সে পুরো সুস্থ আছে। ওজন ৫.২ পাউন্ড।
কাহিনীর এখানেই শেষ নয়। পুলিশ অপরাধী মা’কে খুঁজে নিয়ে গ্রেপ্তার করে দেখে সে মাত্র ১৫বছরের এক কিশোরী। পুলিশের ধারনা মা-বাবা ও সমাজকে লুকাতে গিয়েই মেয়েটি এমন কাজ করেছে। তবে ঘটনা যা-ই হয় না কেনো পুলিশ মায়ের বিরুদ্ধে সন্তান পরিত্যাগ ও হত্যা চেষ্টার দায়ে মামলা করেছে।
শিশুটি সুস্থ হালতে হাসপাতালেই আছে। কন্যামাতার মা-বাবা শিশুটিকে লালন-পালনের দায়ীত্ব নিতে চাইলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখছেন তাদের হাতে শিশুকে তুলে দেয়া যায় কি-না।
পিংপং-ও আগের মতই ৩পায়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটে ওই এঁদো নর্দমার পাশ দিয়ে। মাঝে মাঝে স্বভাববশতঃ ঘেউ ঘেউ শব্দ করে চলে। সূত্র: ব্যাঙ্কক পোষ্ট ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট