হবিগঞ্জ সংবাদদাতা।। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির ঊদ্দিন রহ: পরিবার আজ একজন কিংবদন্তীর নক্ষত্রসম অভিভাবক হারাল। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার, ঐতিহাসিক সুলতানসী দরবার শরীফের পীর সাহেব সৈয়দ হাসান ইমাম চিশতী(আউলিয়া মিয়া সাহেব) আজ শনিবার ৪ঠা মে সকাল ৬.৩০মিনিটের সময় ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন(ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী(রঃ)এর জন্ম ১৩৪৩ বাংলা সনের ২৩শে অগ্রাহয়ণ। তাঁর পিতা মরহুম সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি(রঃ) একজন ইংরেজী, আরবী, উর্দু ও ফারসী ভাষায় উচ্চ শিক্ষিত আলেম ছিলেন। প্রয়াত হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি ১৯৫৬ইং সন থেকে জীবনের অন্তিমকাল অবদি আরবী, উর্দু, ফারসী ও ইংরেজী ভাষায় ইসলাম ধর্মীয় জটিল তত্ত্বসমূহের গবেষণার কাজ চালিয়ে গেছেন। বাংলা-ইংরেজী, আরবী-উর্দু ও ফারসী ভাষায় তিনি একজন সুপন্ডিত ছিলেন। পিতার রেখে যাওয়া হাজারো পুস্তকের একটি পাঠাগারও তিনি সারাজীবন সংরক্ষন করে গেছেন যত্নের সাথে।
এ পর্যন্ত উনার লিখা বই গুলো হচ্ছেঃ তরফের ইতিকথা(যা ইসলামি বিশ্বকোষে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে), শানে পাঞ্জাতন, মহররম পরিচিতি; ইশকে রাছুল, ডুব দাও সখা সত্য সিন্ধু জলে, ইসলামের দৃষ্টিতে বায়ত তরিকা ও চিল্লা প্রসঙ্গ; ইসলামের আলো নামাজ প্রসঙ্গ, সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি রচনা সমগ্র, কদমবুচি প্রসঙ্গ; মুআদ্দাত আল কোরবা, আউলিয়া কিরামের ওসীলা ফজিলত ও মর্যাদা।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ থেকে অনেকগুলো স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি তরজুমান, মাসিক মদীনা, মাসিক মিনহাজসহ অসংখ্য ম্যাগাজিনে প্রচুর পরিমানে ধর্মীয় প্রবন্ধ লিখেছেন।