মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জননেতা সৈয়দ আবুজাফর আহমেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)।
আজ মঙ্গলবার ২৮শে মে বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৩০টার সময় তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫বছর।
লন্ডনে বসবাসকারী কম্যুনিষ্ট পার্টির নেতা কমরেড মসুদ আহমদ জানান, গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত সোমবার, ২০শে মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন।
সৈয়দ আবু জাফর আহমেদের মরদেহ বুধবার সকাল ১০টায় মুক্তিভবনে সিপিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে। দলীয় কার্যালয়ে নিহতের মরদেহ এক ঘণ্টা রাখা হবে। পরে সেখান থেকে তার জন্মস্থান মৌলভীবাজারে মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে।
সৈয়দ জাফর ১৯৫৪ সালের ১১ই জুলাই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ১৯৬৯ সালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর ঢাকা সিটি ল কলেজে ভর্তি হন। পরে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ১৯৭৯ সালে তিনি জার্মানি যান।
সিলেটে চা শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৯৭২ সালে সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ প্রথম কারাবরণ করেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর আবার ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আবারো তিনি গ্রেপ্তার হন এবং বিনা বিচারে দীর্ঘ ১ বছর কারাগার জীবন কাটাতে হয় তাকে। তিনি মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মনুবার্তার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক
ও প্রকাশক ছিলেন।
সৈয়দ আবু জাফরের মৃত্যুতে দেশের বামরাজনীতি অঙ্গন, এক নিরঙ্কার ও অকুতভয় নিষ্ঠাবান রাজনীতিককে হারালো।
তার মৃত্যুর খবর মৌলভীবাজারে পৌঁছার সাথে সাথে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। লন্ডনে তার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছার সাথে সাথে এখানকার বাঙ্গালী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
|