এস এফ ও(serious fraud office) আবারো ‘বার্কলেস’ ব্যাংকের উপর ৩বিলিয়ন ঋণদানের দায়ে দায়ী করে অভিযোগ এনেছে। বার্কলেস ব্যাংক এ ঋণ দিয়েছে কাতারের বিনিয়োগকারীদের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের ধনবানরা দুনিয়াব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের সময় বার্কলেস-এ শেয়ার ক্রয় করেছিল। গতকাল ১২ই ফেব্রুয়ারী গার্ডিয়ান এ খবর প্রকাশ করেছে।
গার্ডিয়ানের ওই খবরে জানা যায়, এর আগে ২০১২ সালে একবার ‘বার্কলেস’ হোল্ডিং কোম্পানীর উপর ‘এসএফও’ অভিযোগ দায়ের করেছিল। এবার লগ্নীপুঁজির কারবারীদের লেনদেনকারী দপ্তর ‘বার্কলেস ব্যাংক’ এর উপর অভিযোগ দায়ের করা হলো। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে ‘বার্কলেস’ এর ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স ও পরিচালনা অনুমোদন ঝুলে গেলো।
নতুন করে ‘বার্কলেস’ এর ব্যাঙ্কিং এর উপর এ দায় এনে অভিযোগ, ২০১২ সালে ‘বার্কলেজ হোল্ডিং’ এর উপর আনা অভিযোগের পর এটি ‘এসএফও’-এর অতিরিক্ত অপর একটি অভিযোগ। গত বছর ‘এসএফও’, ‘বার্কলেস’এর ‘পেরেন্ট কোম্পানী’র বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল। অভিযোগ এনেছিল ২০০৮ সালে সংগঠিত ১১.৮ বিলিয়ন পাউণ্ড জরুরী তহবীল সংগ্রহের বিষয়ে ’বার্কলেস’ এর প্রাক্তন প্রধান কর্মাধ্যক্ষ জন ভারলি সহ আরো ৩জন প্রাক্তন জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার উপর। তাদের বিরুদ্ধে এসএফও-এর অভিযোগ জালিয়াতি আর ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে ভূঁয়া প্রতিনিধিত্বের। এ ধরনের অভিযোগের শাস্তি ব্যক্তি পর্যায়ে ১০ বছরের কারাবাস এবং ‘হোল্ডিং কোম্পানী’কে মোটা অংকের জরিমানা।
‘বার্কলেস ব্যাঙ্ক’এর উপর আনীত এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বৃটেনসহ বহু দেশে বার্কলেস ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স তুলে নেয়া হবে। বৃটেনে এ সিদ্ধান্ত নেবে এফসিএ বা Financial Conduct Authority এবং ব্যাংক অব ইংল্যাণ্ড। অবশ্য এর ফলে বৃটেনে ‘বার্কলেস’এর ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না কারণ এবছরই তারা বৃটেনে ব্যাঙ্কিং এর জন্য নতুন কোম্পানীতে পরিবর্তীত হচ্ছে। তবে বিনিয়োগ ব্যাঙ্কিং, যৌথ সংস্থার লগ্নীঋণ দেয়া এবং আন্তর্জাতিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এসএফও বলেছে, ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর সময়ের মধ্যে ‘কাতার হোল্ডিং’ কে ‘বার্কলেস পিএলসি’ যে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তার সাথেই এই অভিযোগ সম্পৃক্ত। যাহা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ‘বার্সলেস’এর শেয়ার ক্রয়ের জন্য ৩বিলিয়ন পাউণ্ড ঋণের আকারে দেয়া হয়।
১০ বছর আগে দেশের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র যখন ভেঙ্গে পড়ার হুমকিতে ছিল তখন ‘বার্কলেস’ কাতারী বিনিয়োগকারী ও সহায়তাকারীদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছিল। যা, সে সময় সরকারের জামিনে যাওয়া থেকে রেহাই পেয়েছিল। যা ঘটেছিল লয়েডস ব্যাংক ও রয়েল ব্যাঙ্ক অব স্কটল্যাণ্ডের ভাগ্যে। ওই সময় এসব ব্যাংক আংশিক জাতীয়করণ করা হয়েছিল। সূত্র: দি গার্ডিয়ান