লন্ডন: রাজনীতির ধারে-কাছেও ছিলেন না। মিছিল মিটিং তো দূরের কথা। পাক্কা ব্যবসায়ী। ব্যবসার সকল মারপেচই নকদর্পনে। ব্যবসায়ের রথে চড়ে বেড়ানোর সময়ই বুঝতে পারেন হোয়াইট হাউসের ওই চেয়ারটার কেরেসমা। তখন থেকেই মনের মণিকোঠায় কাজ করেছে ওই ঘরের বাসিন্দা হবার বাসনা। না’হলে হুট করে কি কেউ মন চাইলেই ওখানে যেতে পারে? পারে না। একমাত্র তিনিই পেরেছেন। সারা দুনিয়াকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে দুনিয়ার দীর্ঘকালের লালিত পরিচর্যায় গড়ে উঠা রাজনীতি, সংস্কৃতি বা তমদ্দুনের দিন শেষ হয়ে গেছে। এবার পালা বদলের পালা। শুধু স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে কিংবা একটা যু্দ্ধ বাধিয়ে দিতে পারলেই দেশনায়ক হওয়া যায় তা নয়। একজন তখোড় ব্যবসায়ীও দেশ চালাতে সক্ষম। ওই ঘরের বাসিন্দা হবার পর থেকেই প্রতিটি কাজে তা দেখিয়ে বুঝিয়ে যাচ্ছেন। আর এসব নিয়ে পায়েল সামন্ত দৈনিক আজকাল অনলাইনে লিখেছেন খুব রসিকথা করে।
তিনি লিখেছেন- নতুন বাসিন্দা এসেছেন বাড়িতে। স্থায়ী নন, তবে অন্তত চার বছর তো থাকবেনই। নতুন ভাড়াটে এলে যেমন হয়, বাড়িওয়ালা চুনকাম করেন, কলের ভাঙা পাইপ মেরামত করে দেন। দেখে নেন, সব সুইচ টিপলে আলো জ্বলছে কিনা। আমেরিকায় হোয়াইট হাউস নামে যে বাড়িটা রয়েছে, সেখানেই বা ব্যতিক্রম হবে কেন! নয়া বাসিন্দা, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর নতুন বাড়িতে উঠে টুকটাক পরিবর্তন করেই ফেলেছেন।
- সোনালি পর্দা: ধনকুবের বলে কথা! ম্যানহাটন আর ফ্লোরিডায় তাঁর বাড়ি একেবারে যেন সোনায় মোড়া। আদতে ট্রাম্পের সেই প্রাসাদের পর্দা থেকে শো পিস সবেতেই সোনালি আভা। তার কারণ, সোনা ট্রাম্পের খুব পছন্দ। তাই হোয়াইট হাউসে ঢুকেই তিনি প্রথম নির্দেশ দেন ওভাল অফিসে লাল ঝুলন্ত পর্দা সরিয়ে ফেলতে হবে। লাগাতে হবে সোনালি পর্দা।
- পটাটো চিপস্: আলুভাজা খেতে কার না ভাল লাগে! ডোনাল্ড ট্রাম্পও ব্যতিক্রম নন। চেহারাটা বেশ ভারিক্কি হলেও খাবারদাবারে বিশেষ সংযমের পক্ষপাতী নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই বলেছেন, হেঁশেলে পটাটো চিপস্ থাকা চাই। যখন ব্যক্তিগত বিমানে সফর করেন, তখনও নাকি চিপসের প্যাকেটও তাঁর সঙ্গে আকাশে ওড়ে।
- আবক্ষ মূর্তি: ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই গুজব রটেছিল, তিনি নাকি ওভাল অফিস থেকে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলেছেন। না, বরটা মিথ্যে। আবক্ষ মূর্তি ট্রাম্পের পছন্দ। তাই লুথারের সঙ্গে উইনস্টন চার্চিলের মূর্তিও তিনি বসিয়েছেন।
- বাহারি সোফা: ওভাল অফিস সাজানো ছিল ধূসর রঙের সোফায়। প্রেসিডেন্টের অতিথি ও আধিকারিকরা এখানে বসেন। সেগুলি বদলে বাহারি সোফা বসেছে ট্রাম্পের নির্দেশে।
- জ্যাকসনের ছবি: ট্রাম্পের দফতরে আরেকটি জিনিস সংযোজিত হয়েছে। সেটি অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের পোর্ট্রেট। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জ্যাকসন।
৮ বছর আগে হোয়াইট হাউসে পা রেখেছিলেন বারাক ওবামা। তাঁর পছন্দের ডেস্ক, যেখানে বসে তিনি কাজ করতেন, সেটি কিন্তু ট্রাম্পের অপছন্দ হয়নি। তাই ওবামার চেয়াব–টেবিলে বসেই কাজ সারছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। (আজকাল থেকে)
নিউজটি শেয়ার করতে বাটনের উপর ক্লিক করুন