বাংলাদেশের দুই বারের বাজেট’এর সমপরিমান
১৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে
আ’লীগ সরকার আমলে
-মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম
‘ইসলামী আন্দোলন’ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সভাপতির প্রতিনিধি(নায়েবে আমীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম(শায়েখে চরমোনাই) বলেছেন, আ’লীগ সরকারের শাসনামলে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচারকরা হয়েছে। যা এ দেশের দুই বারের বাজেটের সমান। তিনি বলেন, এ টাকা দিয়ে যদি ফ্যাক্টরী করা হতো, কিংবা গরীব-দুঃখীদের বিলিয়ে দেয়া হতো তবে দেশের অর্থনীতির বিরাট একটা পরিবর্তন আসতো। দেশে একজন গরীব থাকতো না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই’এর গুরুজন(শায়েখে) বলেন, সংখ্যা গরিষ্ট হিন্দুরা মুসলমানদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। ভেবেছিলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বজায় থাকবে, কিন্তু আমরা দেখলাম, পশ্চিমারা মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, গেল ৫ই আগষ্ট’র আগে যে সরকার ছিল, তারা বৈষম্য দূর করতে পারেননি। ওই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এতে আমরা সাধারণ জনগণ ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছিলাম। আ’লীগ নেতারা পাহারসম সম্পদ গড়েছেন উল্যেখ করে ফয়জুল করীম বলেন, আ’লীগ নেতারা কানাডায় বেগম পাড়া, আমেরিকা ও ইউরোপে ঘর-বাড়ি বানিয়েছেন। আর আমাদের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ খোলা আকাশের নীচে ঘুমাচ্ছেন। তাদের কারণে আমাদের নিরীহ মানুষ জেলের কুটুরীতে ধুকে ধুকে মারা গেছেন।
মুফতি ফয়জুল করীম আ’লীগ সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪শ কোটি টাকার মালিক, যুবলীগের এক সভাপতি সিঙ্গাপুরে কেসিনোতে ২শ কোটি টাকা হারিয়েছে। এটার জন্য তাদের কোন আফসোস হয় না। উল্টো সরকারকে আরও প্রটেকশন দেয় ডিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, বিডিআর’র সদস্যরা। কিন্তু জনগনকে কোন নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইন চাই। খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান চাই।
দেশের চলমান অর্থনীতির কথা উল্যেখ করে তিনি বলেন, আজকের যে অর্থনীতি রয়েছে, এতে দেশের গরীব, গরীবই রয়ে গেছে। একমাত্র ইসলামী অর্থনীতি মেনে চললে অচিরেই গরীব বৃত্তশালী হতে পারবেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মৌলভীবাজার জেলা শাখা সভাপতি মাওলানা আব্দুর কুদ্দুস’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোলামান আহমদ’র সঞ্চালনায় গণ সমাবেশ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক(সিলেট বিভাগ) হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর, মাওলানা জুবায়ের আহমদ জুবেল প্রমূখ।
আমাদের দেশের ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী হলে সাধারণ মানুষ তাদের ধারে-কাছেও যেতে পারে না এমন মন্তব্য রেখে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম গেল ৫ আগষ্ট’র পর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, চুরি-ডাকাতি-লুটপাট বৃদ্ধি পেয়েছে। এরকম চলতে থাকলে ৫ আগষ্ট ব্যর্থ হবে। তিনি রাজনৈতিক নেতাদের উদ্যেশ্য করে বলেন, দেশের ক্ষমতায় “এ” আসে। পরে আসে “বি” আর “সি”। এতে দেশের কোন উন্নতি হয়না।