মুক্তকথা: মৌলভীবাজার অফিস, সোমবার ১৫ই আগষ্ট ২০১৬।।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খেয়াঘাটবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর কোটি টাকার জমি দখল করে পাঁকা স্থাপনা তৈরি করেছে স্থানীয় ভূমি খেকোরা। এতে রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
মূলত কাউয়াদীঘি হাওরকে কুশিয়ারা নদীর কবল থেকে রক্ষা করে কৃষি ক্ষেতের পরিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ৪০ বছর আগে হলদিগুল থেকে চাঁদনীঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার যায়গায় বাঁধ স্থাপন করে ওয়াপদা নামের সেই সময়কার পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে সাধারণ জনগনের জমি কিনে মাটি খনন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এখন ওই খননকৃত খাল এর আশপাশে বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে পাঁকা স্থাপনা। সরেজমিনে ওই স্থাপনার মালিকদের সাথে আলপচারিতায় তারা জানান, ওয়াপদার কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়েই স্থাপনা নির্মান করেছেন তারা। তবে পাউবো কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা ১ বছরের জন্য তাদের ভূমি বন্দোবস্ত দিয়েছেন। খেয়াঘাটবাজারে ওয়াপদা সড়কের উত্তর পার্শ্বে প্রথমে ১/২ টি কাঁচা -আধা কাঁচা ঘর নির্মান করা হলেও এখন আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে নির্মাণ করা হচ্ছে পাঁকা স্থাপনা। এতে রাস্থা সংকীর্ণ হওয়ায় প্রতিদিন লেগে আছে যানঝট।
খেয়াঘাটবাজারে ব্যবহারকৃত ভুমির মূল্য ১ কোটি টাকার উপরে হবে বলে জানান স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, খেয়াঘাটবাজারে যতসব স্থাপনা উঠেছে সবগুলো অবৈধ। স্থাপনা তৈরি হওয়াতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে যানঝট লেগেই আছে। তিনি আরো জানান, যারা বন্দোবস্ত নিয়ে আসে তারা ওই ভূমি মাটি ভরাট করে আবার অন্যের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে। স্থানীয় এলাকার অজিত কুমার দাশ বলেন, ২০১০ সালের আগে যারা পাউবোর কাছে আবেদন করেছেন তাদেরকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। এর পরে যারা আবেদন করেছেন তারা ১ বছরের জন্য বন্দোবস্ত পেয়েছেন। স্থানীয় আ.লীগ নেতা বলেন, ভারত থেকে যারা এসেছেন (উদ্বাস্তু) তারা অনেকেই জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে। এছাড়াও স্থানীয় অনেকেই স্থাপনা তৈরির সাথে জড়িত। এছাড়াও কালারবাজার ও আব্দুল্লাহপুর বাজারে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে পাঁকা স্থাপনা। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কেরানি আব্দুল খালেক জানান, এখানে যারা পাঁকা স্থাপনা তৈরি করেছে সবগুলো অবৈধ। যারা বন্দোবস্ত নিয়েছে তাদের সাথে চুক্তি ছিল যে, তারা ওখানে কৃষি ক্ষেত করতে পারবে। কিন্তু তারা কৃষি ক্ষেত না করে পাঁকা স্থাপনা তৈরি করেছে। পর্যায়ক্রমে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।