আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই পর্যায়ের দুরত্বে এই ম্যারাথন দৌড় হয়। এর মধ্যে ছিল ২১ কিলোমিটার ও ৫০ কিলোমিটার চা বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় দিয়ে দৌড়ে বিকাল ৪টায় আবার শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠে শেষ হয় এ ম্যারাথনের দৌড়। বিকেল সাড়ে ৪টায় দুই বিভাগের বিজয়ীদের মাঝে সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল বিতরণ করে শেষ হয় এ ম্যারাথনের আসর।
পাহাড়ি পথে ধীর ও শান্ত গতির দৌড় আশপাশের চা-বাগানের মানুষসহ পথচারীরা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেন। বিভিন্ন স্থানে পথের পাশের মানুষ দৌড়ে অংশগ্রহণকারীদের হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। শমশেরনগর, আলীনগর, কানিহাটি ও বাঘিছড়া চা-বাগানের পথে পথে নানা রঙের টি-শার্ট পরা নারী-পুরুষ ও শিশুর দৌড় সবুজ চাগাছের ফাঁকে ফাঁকে অপরূপ সৌন্দর্য ফুটিয়েছে। সিলেট থেকে অংশ নেওয়া আমিনুল হকের ভাষ্য, ট্রেলের আরও চার-পাঁচটা পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবক থাকলে ভালো হতো। অংশগ্রহণকারীরা সবাই নতুন। চিহ্নগুলো নিচু থাকায় অনেকের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। এ ছাড়া সবকিছু এক্সাইটিং ও প্রাকৃতিক ভিউ অসাধারণ। ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার জন্য রাতে অনেকে তাবু বাস করেছেন।
ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার দুরত্বে ১ম স্থান অধিকার করেন সিলেট সেন্ট্রাল কলেজের এইচএচসি পরীক্ষার্থী ফাহিম আহমদ ফারহান এবং ৫০ কিলোমিটার দুরত্বে যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল আহাদ ও রতন মিয়া। বিজয়ীদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অংশগ্রহনকারী ৩ শতাধিক নারী পুুষকে মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়। শমশেরনগর আল্ট্রা ট্র্রেইল ম্যারাথনে ৫০ কিলোমিটার দুরত্ব সম্পন্নকারীদেরকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
শমশেরনগর রানার্স কমিউনিটির প্রশাসক(এডমিন) নবীল শমশেরী জানান, এবার শুক্রবার ভোরে ২১ কি:মি: ও ৫০ কি:মি: এই দুই ধাপে দৌড়ান রানাররা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠ থেকে এ দৌড় শুরু হয়। ম্যারাথন আয়োজনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়।
|