আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। প্রথম বারের মত মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর মাঠে জেলার সাত উপজেলা নিয়ে আঞ্চলিক ইজতেমা ২৫ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে। ইজতেমাকে সামনে রেখে শেষ সময়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাবলীগ জামাতের কর্মীরা। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে মাঠের কাজ। যা বাকী আছে তা যৎসামান্য। তবে এই অসম্পূর্ণ কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজককারীরা। এদিকে আগতদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পানে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮টি গভীর নলকূপ, এসব নলকুপ থেকে ৪টি ৪৮হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্লাষ্টিকের অস্থায়ী পানির ট্যাংক স্থাপন করে তা সংযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ইলেকট্রিকের কাজ শেষ হয়েছে। বাকী রয়েছে সংযোগ দেওয়ার কাজ। তা ইজতেমা শুরু হওয়ার আগেই সংযোগ দেওয়া হবে। স্যানিটেশন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ৬শতাধিক ল্যাট্রিন। পরিবেশের দিকে লক্ষ রেখে আধুনিকভাবে তৈরী করা হয়েছে ল্যাট্রিনগুলো। যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়।
ইজতেমা সূত্র জানা যায়, প্রায় ২ থেকে তিন হাজার খুঠির উপর তৈরি করা হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের বসার উপযোগী বিশাল চটের প্যান্ডাল। প্যান্ডাল তৈরিতে খুঠি বসানো সহ সার্বিক কাজে স্বেচ্ছায় শ্রম প্রদান করেছে জেলার বিভিন্ন ক্বওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ তাবলীগ জামাতের সাথী ও জগন্নাথপুর এলাকার ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানরা।
জেলার সবচেয়ে বড় এই গণজমায়েতকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইজতেমার সফলতা কামনা করে এবং মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক মহাসড়কে টাঙ্গানো হয়েছে বিভিন্ন নমুনার নামফলক। এছাড়াও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে মাঠের উত্তর দিকে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
আগামী ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে প্রথমবারের মত তাবলীগ জামাতের সর্ববৃহৎ গণজমায়েত মৌলভীবাজার জেলা ইজতেমা। ইজতেমা কমিটির আইনশৃঙ্খলার দ্বায়িত্বে থাকা ও বর্তমান মৌলভীবাজার পৌরসভা কাউন্সিলার আয়াছ আহমদ সোমবার এ প্রতিবেদককে বলেন, জেলা ব্যাপী এই ইজতেমায় জেলার ৭টি উপজেলা থেকে লোকসমাগম হবে। তবে, অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আসবেন। ইজতেমার মাঠে ৫শতাংশ কাজ অবশিষ্ট আছে তবে দ্রুত শেষ হবে। তিনদিন ব্যাপী এই ইজতেমায় আমাদের ১হাজার কর্মী মাঠে দেখভাল করবে। ৫জানুয়ারী বাদ ফজর থেকে শুরু হয়ে ২৭ জানুয়ারী সকাল ১০টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল সোমবার এ প্রতিবেদককে জানান, ইজতেমা নির্বিগ্নে সম্পন্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতিসহ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরধার করা হয়েছে। এই স্থলে ৫শ এর মত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। ইজতেমার সামন ও পিছনে ৩০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।