লণ্ডন।। কেমডেনের বাসীন্দা প্রাক্তন কাউন্সিলার রাহেল বক্সের পিতা সমাজসেবী রাজনীতিক আব্দুল জলিল মতিন বক্স আজ বিকেলে হেমস্টিডে তার ঘরে পরলোকগমন করেছেন(ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। তিনি মৌলভীবাজার সদরের চরগাঁও গ্রামের বাসীন্দা ছিলেন। প্রগতিবাদী নির্যাতীত মানুষের কল্যাণধর্মী রাজনীতিতে তার আন্তরিক সম্পৃক্তি ছিল। ছাত্রাবস্থায় প্রয়াত জলিল বক্স মৌলভীবাজার মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আন্তরিকভাবে তিনি প্রগতিবাদী রাজনীতিকে মনে-প্রানে ধারণ করতেন।
আশী-নব্বুইয়ের দশকে প্রয়াত জলিল বক্স বসবাসের উদ্দেশ্যে বিলেতে পাড়ি জমান। লণ্ডনের কেমডেন কাউন্সিলের বাসীন্দা হয়ে এখানেই গড়ে তুলেন স্থায়ী আবাস। মনের গভীরে প্রগতিবাদী রাজনীতিকে লালন করতেন বলে দূর থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করেছেন কেমডেনের শ্রমিকদলীয় রাজনীতিকে। এই পর্যবেক্ষনেরই এক পর্যায়ে তার প্রথম পুত্র রাহেল বক্স লিবারেল ডেমোক্রেট দলে যোগ দিয়ে কেমডেনের কাউন্সিলার হয়েছিলেন।
মন মানসিকতার দিক থেকে তেজোদ্দীপ্ত জলিল বক্স কোন সময়ই নীতিহীনতার কাছে নতিস্বীকার করেননি কোন সুবিধায়ই। কেমডেনের নিজ সম্প্রদায়ের সুবিধেবাদী রাজনীতিকদের সবসময়ই তিনি এড়িয়ে গেছেন আজীবন। “কেমডেন বেঙ্গলী রেসিডেন্ট এসোসিয়েশন”এর সাথে তিনি আমৃত্যু সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বহু সমাজসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে কাজ করে গেছেন সকলের অগোচরে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এককন্যা ও দুই পুত্র সহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
“কেমডেন বাঙ্গালী রেসিডেন্ট এসোসিয়েশন”এর সভাপতি এডভোকেট সাংবাদিক হারুনূর রশীদ তার পরলোকগমনে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। আগামীকাল ব্রিকলেন মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।