মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারের কাওয়াদীঘি হাওরে অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাৎক্ষনিক অবৈধ দখলদারদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাজনগর উপজেলার উত্তর ঘড়গাও গ্রামের আব্দুল মুয়িজ সুফি এর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। সুফি লিখিত অভিযোগে জানান, উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের হাওর কাওয়াদীঘি অংশের শাল কাটুয়া, মাঝের বান্দ এ দু’টি জলমহালে পাচঁগাও ইউনিয়নের একটি প্রভাবশালী মহল নাম সর্বস্ব একাধিক মৎসজীবি সমবায় সমিতি গঠন করে একটি সমিতি অন্য সমিতির উপর বিভিন্ন কারন দেখিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করার জন্য আভ্যন্তরীন সমযোতা করে তারা এ অপকর্ম চালায়। আর এই ফাঁকে এ মৌসুমে তারা অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করে নেয়। মামলা নিরসন না হওয়ায় সরকার কোটি টাকার রজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত।
সম্প্রতি শাল কাটুয়া ও মাঝের বান্দ জলমহালে ব্যাপক হারে একটি মহল মাছ শিকার করে আসছে। এ ব্যাপারে পাঁচগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুন নুর আজাদ বলেন বিলে জমির মালিকরা হয়তো মাছ ধরতে পারে।
রাজনগর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ফনিভুষন দেব জানান, শাল কাটুয়া ও মাঝের বান্দ জলমহাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। রাজনগর উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাখী আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। রাজনগর থানার ওসি শ্যামল বনিক শুক্রবার বিকেলে জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার এসআই রাজিবের নেতৃত্বে কাউয়াদিঘি হাওরের শালকাটুয়া ও মাঝেরবন্দ বিলে একদল পুলিশ অভিযানে নামে। হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে অবৈধ দখলদারসহ কাউকে পাওয়া যায়নি।