“ওয়েব সাইট” বা “ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব”, যার অন্য রূপ হলো ৩টি ইংরেজী www অক্ষর। এখন আর কে-ই-বা না চেনে। একেবারে জীবনে কখনও স্কুল-কলেজে যারা যেতে পারেনি একমাত্র তারা হয়তো বলতে পারবে না “ওয়েব সাইট” কি। এছাড়া দুনিয়ার কোন মানুষ ‘ওয়েবসাইট’ চেনেনা এমন খুঁজেও বের করা যাবেনা।
খুব বেশী কাল আগের কথা নয়। অধুনাতো অবশ্যই। কালের ঘড়িতে সন ছিল ১৯৮৯ইং সাল। টিম বার্নার্স লী একজন বৃটিশ বিজ্ঞানী। CERN নামক ‘ইউরোপীয়ান অরগেনাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্স’এ কাজ করতেন। এই CERN ফ্রান্স উচ্চারণ থেকে এসেছে। পুরো উচ্চারণ “কাউন্সেল ইউরোপীন পৌর লা রেচার্চে নুক্লেয়ারে” (Conseil Européen pour la Recherche Nucléaire)।
বিজ্ঞানী বার্নার্স লী খুব চিন্তিত মনে কি খুঁজছেন যেনো। কিভাবে সাথে সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন অন্য একজন বিজ্ঞানীর সাথে যাকে তিনি চেনেন। সবাই চতুর্দিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কোন বিশেষ প্রয়োজনে সাথে সাথেই কাউকেই পাওয়া যাওয়ার কি কোন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়? নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন বার্নার্স লী’র। অনেক চিন্তা, বহু নমুনার শক্তিতথ্য নিয়ে নাড়া-চাড়ার পর ১৯৮৯ সালে আবিষ্কারে সক্ষম হলেন। আবিষ্কৃত হলো এখনকার ইন্টারনেটের যুগে সর্বত্রবিরাজমান “The World Wide Web” সংক্ষেপে WWW.
যদিও আবিষ্কারের পর প্রথম প্রথম হাওয়াই কারিগরীর এই স্ফটিকস্বচ্ছ বর্গাকৃতির ঘরটিকে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই মনে হয়নি। ওই সময় CERN এরই একজন কর্তাব্যক্তি মনে করতেন বিষয়টি অতীব প্রয়োজনীয়, দ্রব্য সামগ্রীর অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু এখন!
ধনী-গরীব সকল দেশই নয় সকল মানুষই ওয়েবসাইটের ভক্ত ও ব্যবহারকারী। ওয়েবসাইট এখন দুনিয়ার অগণিত মানুষের কাজ-কাম থেকে শুরু করে বিনোদনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ অথচ খুবই অল্প খরচের হাতিয়ার। এটলাস অবস্কোরা থেকে সংকলিত ও অনুদিত।
হারুনূর রশীদ
লণ্ডন বুধবার ১৮ এপ্রিল ২০১৮সাল