স্নায়ূযুদ্ধের গিনিপিগ ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও বলিষ্ঠ বিরোধীতাকারী, অগণিত কুমারীমনের স্বপ্নের নায়ক, হৃদয়ের মানুষ, পৃথিবীর লক্ষকোটী বঞ্চিত মানুষের হৃদয়ের রাজা, ৬০-৭০দশকে মুষ্ঠিযুদ্ধের একচ্ছত্র অধিপতি, মুষ্ঠিযুদ্ধের রূপকথার রাজা, সত্তুরের কিংবদন্তী মোহাম্মদ আলী আর নেই।
গত কাল শুক্রবার দিনের শেষে আমেরিকার অঙ্গরাজ্য আরিজোনার ফোনিক্সের একটি হাসপাতালে ৭৪ বছর বয়সে দুনিয়ার সকল শ্রেণীর মানুষকে কাঁদিয়ে এই নশ্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। মোহাম্মদ আলীর দীর্ঘদিনের পারিবারিক মুখপাত্র বব গুন্নেলের বরাত দিয়ে “দৈনিক গার্ডিয়ান” এ খবর জানিয়েছে।
মোহাম্মদ আলী আর নেই। তার অন্তিম যাত্রা শান্তিময় হোক ফুলে ফুলে ভরে উঠুক।
মৃত্যুর পর তাকে সমাধিস্ত করার সকল অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন হবে কেন্টাকি রাজ্যের লুইসভিলে শহরের তার নিজ বাড়ীতে। গত বৃহস্পতিবার, শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় বলা হয়েছিল যে এটি একটি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। এর ২৪ঘন্টা পর তার অবস্থার অবনতি হয় এবং বলা হয় তিনি “লাইফ সাপোর্ট মেশিন”এ আছেন। তখন তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে আশংকায় আছেন বলা হয়।
আমরা সকলেই জানি, ১৯৮৪ সালে ৪২ বছর বয়সে আলী পারকিন্সন্স রোগে আক্রান্ত হন এবং এর পর থেকে দিন দিন দুর্বল হতে থাকেন। ইদানিং তার জনসমক্ষে আসা অনেকটাই কমে যায়।
মোহাম্মদ আলী নাম শুনেনি, মোহাম্মদ আলীকে চেনেনা, কিছুটা হলেও মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে জানেনা এমন মানুষ এই ধরাধামে কেউ আছে বলে আমরা মনে করিনা। একজন মুষ্ঠিযুদ্ধা হিসাবে যতটুকু না তিনি স্মরণীয় তার চেয়ে বেশী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তার মানবতাবাদী কারণে। দুনিয়ার শেরা মুষ্ঠিযুদ্ধার শিরোপা অবশ্যই বিশ্বের ক্রীড়াবিদ আর ক্রীড়ামোদীদের মাঝে অবিস্মরণীয় করে রাখবে। বিশেষ করে, সনি লিসেন’কে পরাজিত করে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মুষ্ঠিযুদ্ধার খেতাব অর্জন তার প্রথম এবং শেরা অর্জন হিসাবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ সময় পর্যন্ত তিনি “কেসিয়াস ক্লে” নামেই পরিচিত ছিলেন। এই সময়ই তিনি তার নাম পরিবর্তন করে “মোহাম্মদ আলী” রাখেন। এর পরও বহুদিন সাধারণ মানুষ তাকে মোহাম্মদ আলী ক্লে বলে সম্ভোধন করতো।(আরো আছে)