রুপম আচার্য্য।। প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে সনাতনধর্মালম্বীদের শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা উদযাপিত হয়। বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাসে লক্ষ্মীদেবী মূলত দ্বিভূজা। তার বাহন হচ্ছে পেঁচা। বাংলার বাইরে লক্ষ্মী দেবীর চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী মূর্তিই দেখা যায়। লক্ষ্মী ধনসম্পদ, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সৌন্দর্য্যের দেবী। শারদীয় দূর্গাপূজার শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন। কোজাগোরী পূর্ণিমা বা শারদ পূর্ণিমাতে লক্ষ্মী দেবীর পূজা করা হয়। পূর্ণিমার চাঁদের আলো যখন দিক-দিগন্তে সন্ধ্যার কালো আধারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন উলু, শঙ্খধ্বনি সহকারে মা লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। ধন সম্পদের দেবী হওয়ায় বিভিন্ন মন্দির ছাড়াও হিন্দুধর্মালম্বীদের বসতবাড়িতে আড়ম্বরপূর্ণভাবে লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
বুধবার(২৪অক্টোবর) শ্রী শ্রী লক্ষী পূজা। এ উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন স্থানে মৃৎশিল্পীরা লক্ষী প্রতিমার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। আকারভেদে প্রতিমা প্রতি নিচ্ছেন ৩০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
মৃৎশিল্পী শংকর জানান, শ্রীমঙ্গল শহরের ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। এবার ভক্তদের উৎসাহ বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেকেই আসছেন প্রতিমা নিতে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিকাশ চন্দ্র পাল বলেন, লক্ষী পূজা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই পূজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছর ঘরোয়া ও উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের বাসভবনে লক্ষী পূজার আয়োজন করা হয়। মা লক্ষীর কৃপা ও জাগতিক সুখ-সমৃদ্ধি লাভের আশায় লক্ষী পূজা করা হয়।