অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এটা উনার এলাকা! বিগত সিকি শতক যাবত উনি একাধারে এমপি, হূইপ, চিপ হূইপ(পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা)। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি সব সময় ভাই বন্ধু ও চাটুকার পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন ফলে এলাকার কোন কাজ হয় না! আমরা প্রবাসী সঠিক জানি না কি ঘটনা! তবে দেশে গেলে বাড়ী যাওয়ার কথা মনে হলে রাস্তাঘাটের সুকরুণ দৃশ্য দেখে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে! উনি এতটা উদাসীন হবেন কল্পনা করা যায় না!
একজন মহান শিক্ষক, আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই! আমাদের কত আশা ছিল উনার গতিশীল নেতৃত্বে এলাকার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে! কিন্তু বাস্তবে আমরা পাকিস্তান আমলে ফিরে গেছি! শতবর্ষীয়ান কালি প্রসাদ হাই স্কুল(তিনি নিজেই এই স্কুলের ছাত্র) এখন একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী চালু হলনা অথচ সমসাময়ীক বা কালি প্রসাদের অনেক অনেক পরের সব স্কুলেই এখন “স্কুল ও কলেজ” সাইন বোর্ড দেখে আমাদের কলিজা মোচর দেয়! উপজেলা কোটায় সরকারি বরাদ্ধের অতিরিক্ত এক টুকরা ইট ও আমরা পাইনি! এমন কি অন্যান্য জেলায় যা’ আছে আমাদের জেলায় তাও নেই!
শিক্ষার অভাব নেই, যোগ্যতারও অভাব নেই! তাহলে কিসের অভাব!!?? কেন হবিগঞ্জ সুনামগঞ্জে যা’ হয় মৌলবী বাজার তা’ থেকে বঞ্চিত! আমার অনুরুধ ভাই-বেরাদর ও চাটুকার পরিবেষ্টিত হয়ে না থেকে ছদ্ম-বেশে একবার আপনার এলাকার জনগণের মাঝে মিশে দেখুন তারা কি বলে বা বলছে!
শহীদ ভাই, বেয়াদবির জন্য আমাকে দু’চারটা চড়-তাপ্পর দিলেও আমি কিছুই মনে করব না! আপনি আমার বড় ভাই মুরব্বী। এই পাঁচ বছর আপনি কমলগঞ্জের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে নজর দিন! জন প্রতিনিধি হিসেবে আপনি ব্যর্থ, একথা যেন কেউ আমাদের মূখের সামনে বলতে না পারে! আমরা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে উন্নয়ন কাজ দেখিয়ে দিতে পারি!
পরিশেষে বলতে চাই, আমার কোন দাবীই পূরণ হয় নাই! চা-বোর্ডের প্রধান কার্যালয় শ্রীমঙ্গলে আসে নাই, দেশের সর্ব-বৃহত জল-প্রপাত হামহামে যাওয়ার রাস্তা নাই(পর্যটন কেন্দ্র করা হয় নাই), মৌলবী বাজার সরকারি কলেজে আইন বিভাগ নাই(মেয়েরা ডেইলী বেসিস সিলেট আসা যাওয়া করে আইন শাস্ত্র; পড়ে), কালী প্রসাদে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী চালু হয় নাই, মৌলবী বাজারে মেডিক্যাল কলেজ হয় নাই(বৃহত্তর সিলেটে এক মাত্র এখানেই মেডিক্যাল কলেজ নাই), শমশের নগর বিমান বন্দরে আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হয় নাই(যদিও পাক আমলে চালু ছিল)! পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি!
জনাব বশির আহমদ ও বিশ্বজিৎ সিং তাদের ফেইচবুকে এ খোলাচিঠিখানা লিখেছেন। আমাদের কাছেও পাঠিয়েছেন। উপরে প্রকাশিত চিঠিখানা হুবহু তাদেরই সেই খোলাচিঠি।