মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারায় ফেসবুককে ৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে’। আমেরিকার ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন’ফেইচবুকের বিরুদ্ধে গত বুধবার ৫বিলিয়ন ডলার জরিমানার আদেশ দেয়। আমেরিকার সুপ্রতিষ্ঠিত একটি সংবাদমাধ্যম লিখেছে যে এমন অংকের জরিমানা সংবাদপত্রের শিরোনামের জন্য খুবই উপযোগী একটি সংখ্যা তবে বড়ভাবের চিন্তায় এমন অংকের জরিমানা মূলতঃ অর্থহীন। কারণ ফেইচবুকের আয়ের কাছে জরিমানার এ পরিমাণ কোন বিষয়ই নয়। সংবাদমাধ্যমটি হিসেব দিয়ে বলেছে গত তিনমাসে ফেইচবুকের আয় ছিল ১৫বিলিয়ন ডলার। এমন মামুলি জরিমানা আসল সমস্যা নয় বরং এই জরিমানার ভেতর দিয়ে ফেইচবুক কর্মচারীদের ঢালাওভাবে তাদের কৃত দায়ীত্বহীনতার শাস্তি থেকে রেহাই দেয়াটা বড় সমস্যা। এর আগেও ফেইচবুক এ নমুনার অনৈতিক কাজ করেছে এবং জরিমানা দিয়েছে। পুনর্বার মানুষের গোপনীয়তা ভঙ্গের জন্য ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন’ ফেইচবুকের মালিক জুকারবার্গ কিংবা অন্য কাউকেই দায়ীও করেনি।
একইভাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে পদ্মা সেতু ও ছেলে ধরাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে কিছু চক্র। এর দায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। এ কারণে তিনি মনে করেন ফেসবুকের বিরুদ্ধে সরকারের আইনী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার, ২৫শে জুলাই গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে মহিউদ্দীন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন যে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের কারণে কয়েক মাসে ৩৪জন ব্যক্তি নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুজব সৃষ্টি ও গণপিটুনীর দায়ে অনেককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অভিযানে নিরীহ মানুষকে হয়রানি কাম্য নয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য ওমর ফারুক খানের পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারায় ফেসবুককে ৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক সময়ের গুজবের দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না। সরকারের উচিত ফেসবুককে গুজব রটানোর সহায়তাকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করা। সূত্র:নিউইয়র্ক টাইমস ও বাংলাদেশ টুডে