কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় মুসলিম এইডের ক্ষুদ্র ঋণের টাকা কাজে লাগিয়ে অনেক মহিলা সংসারে সফলতা এনেছেন। এ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলিম মণিপুরী মহিলারাও তাঁতের কাজ করে সংসারের সফলতা আনছেন। তাঁতের কাপড় দেশে ও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় মণিপুরী মহিলারা নানা রঙ্গের হাতে ফুল ফুটিয়ে তুলেন শিল্পকর্মে। তেমনি মুসলিম মণিপুরী এক মহিলা আমেরজান বেগম তাঁত শিল্প তৈরী করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিন কুমড়াকাপন গ্রামের মণিপুরি (মুসলিম) পাড়ার তেমনি এক মহিলা আমেরজান বেগম। স্বামী আইনদ্দিন পেশায় একজন গাড়ীচালক। স্বামী ও ৩ ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। ছেলেরা লেখাপড়া করছে। বড় ছেলে এইচএসসিতে, দ্বিতীয় ছেলে ৮ম শ্রেণিতে আর ছোট ছেলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে মাঝে মাঝে হতাশ হতো কিভাবে সংসার চালাবেন ও ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ। সংসার চলতো কষ্টে এমতাবস্থায় জানতে পারেন মুসলিম এইড নামে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণের কথা। আমেরজান বেগম মুসলিম এইড দক্ষিন কুমড়াকাপন গ্রামের মণিপুরী সমিতিতে ভর্তি হন। প্রথমে ১০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে তা দিয়ে একটি তাঁত ক্রয় করেন। ম্বামী-স্ত্রী মিলে তাঁতের কাজ করেন এবং কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিমাসে তার আয় হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এমনিভাবেই ৮ বার ঋণ নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিতে মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে তিনি ৫ কেয়ার জমিতে কৃষি ক্ষেত করেছেন, নিজস্ব ১টি পাকা বাড়ী করেছেন। স্বামীকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন।
আমেরজান বেগম জানান, ক্ষুদ্র ঋণের টাকা দিয়ে তাঁতের কাজ করে সুন্দরভাবে সংসার চলছে। নতুন করে ঘর তৈরী করেছি। এখন আগের তুলনায় আমি অনেক সুখি। বর্তমানে তার ব্যবসার অবস্থা ভাল। তার এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মুসলিম এইডের অবদানের কথা তারা স্বীকার করে বলেন, পরবর্তীতে বড় ধরনের অর্থ সহায়তা পেলে অরো ভাল কিছু করতে পারবো।
মুসলিম এইড কমলগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো: আর্শ্বাদুন্নবী বলেন, মুসলিম এইড ২০০৫ সাল থেকে কমলগঞ্জে ডিব টিউববয়েল ও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম এর কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে অত্র এলাকার প্রায় তিন হাজার পরিবার বিভিন্ন প্রকার সেবা গ্রহণ করছে।