1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ঢাকা জেলাপরিষদের দূর্ণীতি - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

ঢাকা জেলাপরিষদের দূর্ণীতি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯
  • ৪০৪ পড়া হয়েছে


বরাদ্ধ পাওয়া ১১৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০ভাগেরই অস্তিত্ব নেই

ঢাকা।। রীতিমত দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঢাকা জেলা পরিষদ। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নামে ২২ কোটি টাকা লুপাট করেছেন পরিষদের কর্মকর্তারা। এসবের মধ্যে নব্বুইভাগ মসজিদ ও মাদ্রাসার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় নি। আবার যাদের খোঁজ পাওয়া গেছে তারা জানেই না এমন বরাদ্ধের কথা। অথচ এরই মাঝে কাজ শেষ হয়েছে দেখিয়ে তুলে নেয়া হয়েছে সমস্ত টাকা।
এমন মন্তব্য ৭১টিভির। 
৭১টিভির বিবরণ মোতাবেক জানা যায়, ঢাকা কল্যাণপুরের ৪টি মসজিদে গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রতিটি মসজিদকে ১লাখ টাকা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়। ইতিমধ্যে এ বরাদ্ধের কাজও শেষ হয়েছে বলে মন্ত্রনালয়েরই এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা-১৪ আসনের মসজিদের তালিকা থেকে জানা যায় এখানে মোট ১৮২টি মসজিদ রয়েছে যার মধ্যে কল্যাণপুরে আছে ১২টি মসজিদ। অথচ এ তালিকার মধ্যে বরাদ্ধ পাওয়া ৪টি মসজিদের কোনটিরই নাম পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক হাসিমাখা মুখে জানান আশ্চর্য হলেও সত্য যে কল্যাণপুর এলাকায় ওই নামে কোন মসজিদ নেই। 
একই সাথে মিরপুর ১নম্বরে ১০টি মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ২লাখ টাকা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। অথচ এদের কোনটিরই কোন অস্তিত্ব নেই। এসবের মাঝে একটি মাদ্রাসার নাম দেয়া হয়েছে ‘বেদালয় মাদ্রাসা ও এতিমখানা’! হাস্যকর হলেও বলা উচিৎ হবে যে এ ধরনের নামে কোন মাদ্রাসা থাকতে পারে কি-না তা প্রশ্নাতীত নয়।

আবার ঢাকা বেরিবাঁধের বিপরীত পাশে বিরুলিয়া গ্রাম। এই গ্রামে মসজিদ আছে ২টি আর পুরো ইউনিয়নে মাদ্রাসাও আছে দু’টি। কোন এতিমখানা এখানে নেই। কিন্তু ঢাকা জেলা পরিষদ শুধু বিরুলিয়া গ্রামেই ১১টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ২২লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে এবং কাগজে-কলমে কাজও শেষ হয়েছে। মাদ্রাসাগুলোর নামও খুব চমকপ্রদ। এদের নামের সিড়ি দেখলে হাসি না পেয়ে যায় না।  যেমন- যমুনা সবুজ মাদ্রাসা ও এতিম খানা, প্রভাকর মাদ্রাসা ও এতিম খানা, সাবিতা মাদ্রাসা ও এতিম খানা, পামুক মাদ্রাসা ও এতিম খানা, অগ্রগামী মাদ্রাসা ও এতিম খানা, পুরোবর্তী মাদ্রাসা ও এতিম খানা, আগুয়ান মাদ্রাসা ও এতিম খানা, অনুগামী মাদ্রাসা ও এতিম খানা, উতগম মাদ্রাসা ও এতিম খানা, প্রবহন মাদ্রাসা ও এতিম খানা ইত্যাদি। এলাকার লোকজনও জানান যে এমন সিড়ির  নামের মাদ্রাসা বা এতিমখানা তাদের কোন জন্মেই শুনেননি, দেখাতো দূরের কথা।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই সুতিপাড়া বাস ষ্ট্যাণ্ড। জেলা পরিষদের কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে যে সুতিপাড়া বাসষ্ট্যাণ্ডের জামে মসজিদে ২লাখ টাকা বরাদ্ধের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে এখানে কোন জামে মসজিদই নেই। আছে ১২ফুটের একটি কক্ষ। যা নামাজের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এলাকার লোকজনও জানান যে এখানে কোন জামে মসজিদ নেই। ষ্টেশনের নামাজ পড়ার জন্য একটি কক্ষ আছে। যা তারাই নিজেদের চাঁদার টাকায় নির্মাণ করিয়েছেন। এই যা।
এখানে সরকারী কোন বরাদ্ধ এসেছে এমন কোন খবরও তাদের কাছে নেই। একইভাবে আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বরাদ্ধ দেয়া ৪৪২টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায় নি। আর এই সব মিলিয়ে ঢাকা জেলা পরিষদ নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্ধ দিয়েছে ২২কোটি টাকা। যার খরচের কোন হদিসই পাওয়া যায়নি। 
ঢাকা জেলা পরিষদের বরাদ্ধ তালিকার ৮১১ নম্বরে রয়েছে হাস্য রসে ভরা একটি মসজিদের নাম। রমানাথ মসজিদ, ঢাকা। অথচ ঢাকার কোন এলাকায় এই মসজিদ তার কোন উল্লেখ নেই। জনমনে স্বাভাবিক প্রশ্ন ‘রমানাথ’ নামে কোন মসজিদের নাম আদৌ হতে পারে কি-না? বরাদ্ধ পাওয়া ১১৬০টি প্রকল্পের ১১১০টির কোন পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা বা হল্ডিং নাম্বার পাওয়া যায়নি।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT