মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দ বয়তুল আলী।। সেতু নির্মাণের ছয় বছর শেষ হলেও সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মৌলভীবাজারের হাওর পারের রাজনগর উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে তৈরী সংযোগহীন তিনটি সেতু এখন উপকারের পরিবর্তে বিড়ম্বনার অন্যতম কারণ।
জানাযায়, প্রায় ছয় বছর পূর্বে ২০১২ সালে এলজিএসপির অর্থায়নে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের অন্তেহরি এলাকায় একটি সেতু এবং উত্তর ভাগ ইউনিয়নের সুনামপুর-সুরিখাল সড়কে আরেকটি সেতু নির্মান করা হয়।দুটি সেতু দিয়ে দুই ইউনিয়নের কেশরপাড়া, সোনামপুর, উমরপুরসহ দশ গ্রামের মানুষ চলাচল ও কৃষকরা হাওর থেকে ধান উত্তলন করেন। কিন্তু সেতু দুটি নির্মাণের কয়েক বছর পাড় হলেও দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় এ পথ দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।অন্যদিকে দেড় যুগ পূর্বে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগ,কানিকিয়ারি,সুবিদপুর,ভ’মিউড়া,আমিরপুরসহ কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচল বিশেষ করে কৃষকরা হাওর কাউয়াদীঘি থেকে বোর ধান উত্তলনের জন্য হাওর পূর্বা লের আমিরপুর গ্রামের সবুরবন্দ এলাকায় মাছু নদীতে নির্মান করা হয় আরেকটি সেতু।কিন্তু এখন পর্যন্ত এই সেতুটিও ব্যাবহার উপযোগী হয়নি। এখন শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে আর বষায় নৌকাই একমাত্র ভরসা তাদের।
হাওর পূর্বাঞ্চলের আমিরপুর গ্রামের সবুরবন্দের পাশে মাছু নদী। ছবি: মুক্তকথা |
অন্তেহরি ও সুরিখাল,সুনামপুরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে তৈরী সংযোগহীন দুইটি সেতু এখন উপকারের পরিবর্তে বিড়ম্বনার অন্যতম কারণ।হাওরে উৎপাদিত ফসল তুলতে বিড়ম্বনায় পড়েন কৃষকরাও। সুনামপুর-সুরিখাল সেতুটি নিচু করে তৈরী করায় বষায় তলিয়ে যায় পানির নিচে। শুষ্ক মৌসুমে খালে পানি থাকলেও সেতুর নিচ দিয়ে সম্ভব হয়না নৌকা পাড়াপাড়।
পশ্চিমভাগ গ্রামের জিল্লু মিয়া,,কানিকিয়ারি গ্রামের সামছুল মিয়াসহ ,সুবিদপু,ভ’মিউড়া এলাকার একাধিক কৃষক জানান,হাওর কাউয়াদীঘিতে গিয়ে বোর ক্ষেত্রে যাওয়া আসার একমাত্র পথ সবুর বন্দের পাশ দিয়ে।কিন্তু প্রায় দেড় যুগ পূর্বে হাওরে চলাচলের জন্য সবুর বন্দ এলাকায় একটি সেতু নির্মান হলেও এখন পর্যন্ত সেতুটি ব্যাহারের উপযোগী হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি আক্তার জানান, এগুলো সেতু নয় বড় কালভার্ট। এলজিএসপির মাধ্যমে নিমাণ করা হয়েছিলো। শুষ্ক মৌসুমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করা হবে।